Photo: Syed Sheesh |
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, একটি ইতিবাচক ভাবধারায় আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
রাশেদ চৌধুরী জানান, দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন বিষয়গুলোই আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্নখাতে ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি অর্থনৈতিক খাতসহ অন্যান্য দিকে বাংলাদেশকে দেওয়া সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্কুল-ফিডিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথাও জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সরকারের ভ’মিকার প্রশংসা করে, সন্ত্রাস দমনে দুদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন তিনি।
এসময় মানবাধিকার সংরক্ষণসহ অন্যান্য ইস্যুও আলোচনায় স্থান পায় বলে বাংলানিউজকে জানান লন্ডনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে তা আরও বাড়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপুমনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সিলেটের মেয়র বদরুদ্দীন আহমদ কামরান ও ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার ডক্টর সাইদুর রহমান খান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছান।
এসময় মূল ফটকের বাইরে বেরিয়ে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এসময় দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সামনে ছবির জন্য পোজ দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ডেভিড ক্যামেরন তার অফিসকক্ষে যান। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত আলোচনায় বসেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে শেখ হাসিনা সরাসরি অক্সফোর্ডের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সেখানে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বশান্তির ওপর বক্তব্য রাখবেন তিনি।
৫ দিনের সরকারি সফরে ব্রিটেন গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক কেগ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, বিরোধী দলীয় নেতা এড মিলিব্যান্ডসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যস্ত দিন কাটান শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় বিশ্বশান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গ্লোব্যাল ডাইভারসিটি’ অ্যাওয়ার্ড দেন ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো।
হাউস অব কমন্সের স্পিকার অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৯.৫৬, ২৭ জানুয়ারী ২০১১
link to article
0 comments:
Post a Comment