সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন
লন্ডন সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শেখ হাসিনা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে রয়েছে তার আত্নার সম্পর্ক। জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনে তিনি সব কিছু বিসর্জন দিতেও প্রস্থুত। তার দেশে ফেরার বিষয়ে প্রতিবন্দকতাসূচক বুধবারের সরকারি প্রেসনোট সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রেসনোট জারি করে তার প্রতি অন্যায় ও অবিচার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, শত প্রতিকহৃল অবস্থার মধ্যেও তিনি ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেবেন। র্বতমান সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা যেমন করেছেন, খারাপ কাজের সমালোচনাও তেমন করবেন। বিবেকের সঙ্গে কখনো প্রতারণা করতে পারবেন না।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্ঠা বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কথা।
আগামীকাল শনিবার লন্ডনে সমর্থকদের একটি সভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ডালাস বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান সজীব ওয়াজেদ জয়, ক্রিসি্টনা ওয়াজেদ, যুক্তরাষ্ঠ্র আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খালিদ হাসান, অধ্যাপিকা জাহানারা হাসানসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এনা জানায়, শেখ হাসিনাকে ঢাকায় যাওয়ার বোডর্িং দেননি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। তবে তাকে লন্ডন ভ্রমণের বোডর্িং পাস দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও যুক্তরাষ্ঠ্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম চৌধুরীকে নিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাউন্টারে যান। কাউন্টারের কর্মকর্তারা কম্পিউটারে স্ক্যানিংয়ের পর তার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, তাকে বাংলাদেশে যাওয়ার বোডর্িং পাস দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাদের এ অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০ এপ্রিল' ২০০৭
0 comments:
Post a Comment