লন্ডন: প্রবাসী বাঙালিদের ভোটাধিকার ও পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এরইমধ্যে এ বিষয়ে আইন করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
১২ দিনের বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে রাশিয়া যাওয়ার পথে সোমবার লন্ডন হিথরো বিমান বন্দরে যাত্রাবিরতিকালে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী উপরোক্ত তথ্য জানান।
লন্ডন সময় সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২ঘন্টার যাত্রাবিরতি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, রহমত উল্লা এমপি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ আবুল বারকাত এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ডঃ সাইদুর রহমান খান হিথরো বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তার বোন শেখ রেহানাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান সরকার সব সময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তিনি বলেন, সব রকমের আইনী জটিলতা অতিক্রম করে প্রবাসীদের ভোটধিকার ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ল্েয সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে গণতান্ত্রিক শাসন অব্যাহত রাখতে অতীতের মতো বর্তমানেও প্রবাসীদের সহযোগিতা আশা করে বলেন, গণতন্ত্রের সুস্থ চর্চা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের সব সমস্যাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলের সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত রাখতে বিরোধী দলও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এটি আমাদের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রহীন শাসন যে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কতটুকু তিকর তা বিগত কয়েক দশকে দেশের মানুষ উপলব্দি করতে পেরেছে। সুতরাং গণতান্ত্রিক পন্থার বাইরে যদি কোন দল বা গোষ্ঠি ভূমিকা রাখতে চান তা জনগণই প্রতিরোধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ইস্যুতে জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, সংগ্রাম হতেই পারে। সরকারও এ আন্দোলনেক সহনশীল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে, এটাই গণতন্ত্রের অলঙ্কার। কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা অন্যকোন ব্যক্তিগত ইস্যু মোকাবেলার জন্যে সরকার পতনের আন্দোলন নয়, আইন আদালতের আশ্রয় নেয়াই হলো সবচেয়ে উত্তম পন্থা বলেও মত দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এেেত্র দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে সহিংস আন্দোলনের চেয়ে আইনের ফয়সালার জন্যে অপো করাই হলো কোন রাজনৈতিক দল বা নেতার দুরদর্শিতা।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিরোধী দল সে পথেই হাটবে, সেই দুরদর্শীতাই দেখাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে কিছু করে সাময়িক হয়তো পার পাওয়া যায়, কিন্তু চূড়ান্তভাবে কোন সময়ই রেহাই পাওয়া যায় না, এটিই হলো ইহিতাসের শিা।’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুক্তরাজ্য শাখার উপদেষ্টামন্ডলীর চেয়ারম্যান সুলতান শরীফ, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সামসুদ্দিন খান, সহসভাপতি জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হাশেম।
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আমিরাত এয়ারলাইন্সে লন্ডন হিথরো বিমান বন্দরে অবতরণ করে ২ ঘন্টা যাত্রাবিরতি শেষে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যোগে মস্কোর উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময় ২৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০
Link to Article
Syed Anas Pasha
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
বৌদ্ধদের উপর হামলার প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ বক্তব্য রাখছেন একজন ভিক্ষু বক্তব্য রাখছেন বৌদ্ধিষ্...
-
Link to Article মঈনুদ্দিনের বিচার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলীপী
-
বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার সাবেক আইএসআই প্রধানের সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন : ১৯...
-
Syed Anas pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: Senior vice-chairman of BNP Tarrique Rahaman asserted that the next ...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী- ছবি: মনিরুজ্জামান সামি ...
-
Amnesty for probe into Sylhet deaths London Correspondent banglanews24.com DHAKA: Amnesty International demanded investigation in...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতের মদদপুষ্ট হেফাজতি ভোটের কথ...
-
UK court awards 9 men, including 6 Bangladeshis Syed Anas Pasha, London Correspondent banglanews24.com LONDON: A British Court award...
-
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লন্ডন: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের...
0 comments:
Post a Comment