Syed Anas Pasha

Syed Anas Pasha

৩০ দিনে ১ হাজার ঘন্টার লাইভ সম্প্রচার : লন্ডনে টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে মৌলবাদীদের তহবিল সংগ্রহ অভিযান!

লন্ডন:  তহবিল সংগ্রহের প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দিয়ে লন্ডনে ৫টি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের জন্য ফান্ড রেইজিং বা তহবিল সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। এদের তিনটি বাংলাদেশের অন্য দুটি লন্ডনভিত্তিক। মূলত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নামেই চলছে লাখ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ। অথচ বিপুল এই অর্থ যাচ্ছে মূলত: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গি সমর্থক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সংগঠনের হাতে।

 কোনো কোনো টিভি চ্যানেলে ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনায় অংশ নিয়েছেন যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াই মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, বিলেতে সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের নেতা মাওলানা মাদানী, মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরিসহ অনেকেই।

অনেকে মনে করছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত  করতেই এ অর্থ কাজে লাগানো হবে। যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন-প্রতিষ্ঠিত সংগঠন মুসলিম এইড, জামায়াতের ইউরোপীয় সংস্করণ আইএফই পরিচালিত পূর্ব লন্ডনের মসজিদ ছাড়াও রহস্যময় কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ফান্ড রেইজিং এ উপস্থিত হয়েছিলেন  অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি। এদের কেউ কেউ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

বাংলাদেশভিত্তিক কয়েকটি টিভি চ্যানেল এবং লন্ডনভিত্তিক দুটি বাংলা চ্যানেল গত রমজান মাসের পুরোটা জুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সেহরির শেষ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ঘণ্টার লাইভ চ্যারিটি আপিল প্রচার করেছে।  কিন্তু সংগৃহিত লাখ লাখ পাউন্ড চলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গি সমর্থক সংগঠনগুলোর হাতে ।  যুক্তরাজ্যে বাঙালি কমিউনিটির সচেতন অংশের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে চাপা উদ্বেগেরও। কিভাবে খরচ হচ্ছে এই অর্থ? কি পরিমাণ অর্থই বা সংগৃহিত হয়েছে পুরো রমজান মাসে?

বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দারিদ্রবিরোধী সংগঠনের ফান্ড রেইজিং নতুন কোন বিষয় নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সমস্ত আয়োজনকে বিভিন্ন দুর্যোগ কিংবা দুঃসময়ের জন্যে তুলে রাখা হয়। বিভিন্ন নামিদামি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে ফান্ড রেইজিং এর আয়োজন করে। কিন্তু প্রচলিত এই ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে বিলেতে সম্প্রচারিত বাংলা টিভি চ্যানেলগুলো। বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, তারা বিপন্ন বা দুর্গত মানুষের জন্য নয়, বরং  বিতর্কিত মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছে।
এরা পবিত্র রমজান মাসকে ফান্ড রেইজিং বা চাঁদা সংগ্রহের মাস হিসেবে পরিচিত করে তুলছে।রমজানে  টেলিভিশনের পর্দায় মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা ঘনঘন উপস্থিত হন। নানা অনুনয় বিনয় করে তারা ধর্মভীরু মানুষের কাছে এসব  অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এভাবে তারা প্রতিবছর লাখ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করছেন। কিন্তু  এই ’উন্নয়নকাজ’ আর শেষ হয় না। শেষ হয় না তাদের আবেদনও।

এক্ষেত্রে তারা কাজে লাগায় ধর্মভীরু বাঙালিদের সাহায্যপ্রবণ মনোভাবকে।  আর এজন্য মোক্ষম সময় হিসেবে তারা বেছে নেয় রমজান মাসকে। কিন্তু কমিউনিটির সচেতন অংশটি এরই মধ্যে এই অভিনব ফান্ড রেইজিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য নিয়েই সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেছেন। তারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দান করা অর্থ নির্ধারিত কাজে লাগছে না। তাছাড়া একই কাজের কথা বলে তারা প্রতি বছর অর্থের জন্য আবেদন চালিয়ে যাচ্ছে।

এদের কারণে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুঃসময়ে দুগর্ত বিপন্ন মানুষের জন্য প্রবাসীদের সাহায্য পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ছে। এক সময় দেশের দুর্যোগ দুঃসময়ে প্রবাসীরা উদার হস্তে যে অর্থ দান করতেন রাষ্ট্রিয় তহবিল অথবা সাহায্যকারী সংস্থাগুলোকে। আর এখন সে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে নামে-বেনামের এসব সংগঠন। এরা ধর্মভীরু মানুষকে বেহেশতের সার্টিফিকেট ও আখেরাতে মুক্তির আগাম নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

গত রমজান মাসে ৫টি বাংলা টিভি চ্যানেলে  প্রায় দেড়শটির মতো প্রতিষ্ঠান ফান্ড রেইজিং এ অংশ নিয়েছে। এসবের মধ্যে একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন প্রতিষ্ঠিত মুসলিম এইড, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঘনিষ্টজন কামাল উদ্দিন জাফরির প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি, হিযবুত তাহরীরের মূল সংগঠকদের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও বিলেতের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার নামেও তহবিল সংগ্রহ করা হয়, যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ পরিচালনা করছেন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সদস্য এবং ইসলামী ছাত্রশিবির ও অন্যান্য মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতারা। বাংলাদেশে মৌলবাদী জঙ্গি তৎপরতায় অর্থের জোগান দিতে এই সংগঠনগুলোর সংগ্রহ করা তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে কমিউনিটিতে। ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠান শেষে কোনো কোনো টিভি চ্যানেলে দোয়া পরিচালনায় অংশ নিয়েছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াই মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, বিলেতে সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের নেতা মাওলানা মাদানী, মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরিসহ অনেকেই।
টিভি চ্যানেলগুলো রমাজনের পুরো মাস বিকাল ৫টা থেকে সেহরীর শেষ সময় পর্যন্ত নির্ধারিত সব অনুষ্ঠান স্থগিত করে সরাসরি সম্প্রচার করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাহায্যের আহবান। এবারের ফান্ড রেইজিং আপিলে অংশ নেয়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রহস্যময় কর্মকান্ড নিয়ে ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটিতে ব্যাপক গুজব গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, রমজান শেষ হতে না-হতেই  পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানীর নামে ফান্ড সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। শুধু কোরবানী নয়, জাকাত, ছদকা, ঈদ গিফট ইত্যাদি নামেও গতবারের মত এবারও ফান্ড রেইজিং এর পরিকল্পনা করছে মৌলবাদী সংগঠনগুলো।

গত ঈদে বাংলাদেশে তুলনামূলক কম রেমিটেন্স গিয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। সিলেটেও আশার তুলনায় অল্প অর্থ পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রবাসীরা। এর পেছনেও ফান্ড রেইজারদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। ফান্ড রেইজিং এর ফলে ব্রিটেনের অধিকাংশ বাঙালিরা তাদের সাহায্যের যাবতীয় অর্থই দান করে ফেলছেন বিভিন্ন ধর্মীয় কিংবা সামাজিক সংগঠনের নামধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ফলে কোন অর্থ যাচ্ছে না দেশে, বিপাকে পড়েছেন সিলেটে বসবাসরত দরিদ্র মানুষ। সিলেট অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক অধিবাসী বাস করেন যুক্তরাজ্যে। দেশের সঙ্গে তাদের নাড়ির সম্পর্ক। প্রত্যেক প্রবাসীরই আত্মী স্বজন কিংবা চেনা জানা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র। প্রবাসীদের জাকাত-ফিতরা আর সাধারণ দানের উপর তারা ছিলেন অনেকটাই নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে ফান্ড রেইজিংয়ের জোয়ারে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের দানের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে। ফলে বিপদে আছেন প্রবাসীদের গরীব আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষ। যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাহায্য্ কমে যাওয়ায় সিলেটের গ্রামগঞ্জের গরীব মানুষের অসহায়ত্ব বাড়ছে বলে জানা গেছে।

ফান্ড রেইজিং নিয়ে বাংলা নিউজ এর পক্ষ থেকে টিভি চ্যানেলগুলোর দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কারো পক্ষে বলা সম্ভব হয়নি পুরো রমজান মাসে তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে মোট কতটাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফান্ড রেইজিং এর উপর লন্ডন থেকে প্রকাশিত প্রচীনতম বাংলা সাপ্তাহিক ’জনমত’ একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করে।

লন্ডনভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেল এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে চ্যারিটি আপিলে মোট সংগৃহিত হয়েছে প্রায় ৪ মিলিয়ন পাউন্ড। লন্ডন থেকে প্রচারিত বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, রমজানের পুরো ৩০ দিনের প্রতিদিন তাদের চ্যানেলে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার পাউন্ডের মত সংগৃহিত হয়েছে। বাংলাদেশভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেল এ থেকে জানানো হয়, সর্বনিম্ন ৭শ পাউন্ড থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১৪ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারিত লাইভ আপিলের কোনো কোনো সংগঠন।

লন্ডন ভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেলের আরেকজন কর্মকর্তা জানান তারা গড়ে প্রতিদিন ২৬ থেকে ২৭ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে কিছু দাতা আছেন যারা প্রতিশ্র“তি দিলেও এখনও পরিশোধ করেননি। সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে চ্যানেল ফোর কর্তৃক জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপীয় সংস্করণ হিসেবে পরিচিত একটি সংগঠনের পরিচালিত মসজিদ। তাদের সংগৃহিত অর্থের মোট পরিমাণ ১১ লাখ পাউন্ড। ঐ মসজিদের প্রধান ঈমাম জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াই মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম।

ফান্ড রেইজিং আপিলের সুযোগ দিয়ে টিভি কর্তৃপক্ষের কেমন লাভ? এই প্রশ্নটি বিগত কয়েক বছর যাবতই কমিউনিটিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ পর্যন্ত এর সঠিক কোন উত্তর জানা যায়নি। ব্রিটেনের আইনে কোন চ্যারিটি আপিলের জন্য স্লট বরাদ্দ করে কোন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান অর্থ গ্রহণ করতে পারে না। অথচ প্রতিটি টিভি চ্যানেলই একেক রাতের জন্যে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৩ হাজার পাউন্ড করে অর্থ গ্রহণ করে থাকে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কৌশলে জবাব এড়িয়ে গেছে। তাদের বক্তব্য, চ্যানেল কর্তৃপ কেবল তাদের আনুষাঙ্গিক ব্যয়টুকুই নিচ্ছেন। চ্যানেল কর্তৃপক্ষও এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। তাদের বক্তব্য, বিষয়টি তাঁরা সহানুভুতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন। একটি টিভি চ্যানেলের বক্তব্য হচ্ছে,তারা ফান্ড রেইজিং লাইভ আপিলের জন্যে কোনো অর্থ নেন না, শুধু প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টারি তৈরী ও বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্যে সাড়ে আট হাজার পাউন্ড পর্যন্ত গ্রহন করেন।

বাংলাদেশি কোন সংগঠন ব্রিটেনভিত্তিক কোন চ্যারিটেবল সংস্থার নম্বর নিয়ে বা তাদের অধীনে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে চ্যারিটি কমিশনের একজন মূখপাত্র জানান, কাজের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এক হলে এটি সম্ভব। মূখপাত্র জানান, যুক্তরাজ্যভিত্তিক চ্যারিটি সংস্থার পক্ষে বিদেশে তাদের পার্টনার সংগঠনের জন্যে তহবিল সংগ্রহ করা বৈধ, তবে এর উদ্দেশ্য ও বিজ্ঞাপন স্পষ্ট হতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি অক্সফাম, ক্রিশ্চিয়ান এইড ইত্যাদি সংগঠনের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন। একাধিক সংগঠনের জন্য একই যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারিটি সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ তথ্য উপাত্তসহ অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখবে চ্যারিটি কমিশন।!

বাংলাদেশ সময়:১৯১৩ঘণ্টা, বুধবার,২০১০
Link to Article

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts