লন্ডন: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় নেত্রী যে অবস্থান ঘোষণা করেছেন এবং এই বিচারের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার পেছনে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের ইঙ্গিত থাকতে পারে।
রোববার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের একটি কমিউনিটি হলে যুবলীগের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য যুবলীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এই মন্তব্য করেন।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকেই খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থান বার বার জানাচ্ছেন। `৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানকে প্রভাবিত করে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও নিজ শাসনামলে এদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো দেশ স্বাধীন হওয়ার মুহূর্তে পাকিস্তানিদের সাথে কোনও একটি গোপন চুক্তিরই ফল বলে মনে হচ্ছে।’
তিনি খালেদাকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘৭১ এ পাকিস্তানি সেনাশিবিরে বন্দী থাকাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে খালেদার কী এমন চুক্তি হয়েছিল যার ফলে দেশ স্বাধীন হওয়ার চল্লিশ বছর পরও তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির মায়া এখনও কাটাতে পারছেন না।’
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার্থে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে খালেদা জিয়া কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাও এবার তদন্ত করতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় খালেদা জিয়ার নামও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে গাফ্ফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। তিনি যুবলীগকে এই আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহন করার আহবান জানান।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে বাংলার মাটিকে পাপমুক্ত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার না হলে বাংলার মাটি পাপমুক্ত হবে না।`
২০১২ সালের মধ্যেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হবে উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, ‘কোনো শক্তিই এই বিচার বানচাল করতে পারবে না।`
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকেই খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থান বার বার জানাচ্ছেন। `৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানকে প্রভাবিত করে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও নিজ শাসনামলে এদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো দেশ স্বাধীন হওয়ার মুহূর্তে পাকিস্তানিদের সাথে কোনও একটি গোপন চুক্তিরই ফল বলে মনে হচ্ছে।’
তিনি খালেদাকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘৭১ এ পাকিস্তানি সেনাশিবিরে বন্দী থাকাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে খালেদার কী এমন চুক্তি হয়েছিল যার ফলে দেশ স্বাধীন হওয়ার চল্লিশ বছর পরও তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির মায়া এখনও কাটাতে পারছেন না।’
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার্থে খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে খালেদা জিয়া কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাও এবার তদন্ত করতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় খালেদা জিয়ার নামও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে গাফ্ফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। তিনি যুবলীগকে এই আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহন করার আহবান জানান।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে বাংলার মাটিকে পাপমুক্ত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার না হলে বাংলার মাটি পাপমুক্ত হবে না।`
২০১২ সালের মধ্যেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হবে উল্লেখ করে শাহজাহান খান বলেন, ‘কোনো শক্তিই এই বিচার বানচাল করতে পারবে না।`
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে জনগণের বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় নেত্রীর যুদ্ধ ঘোষণার সমালোচনা করে নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, `খালেদা জিয়ার আসল পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়েছে।’
যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক, সহ-সভাপতি হরমুজ আলী, সামসুদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুবনেতা তারিফ আহমেদ, শাহ শামীম, জামাল খান ও আবুল কালাম মিসলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১১
যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক, সহ-সভাপতি হরমুজ আলী, সামসুদ্দিন মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুবনেতা তারিফ আহমেদ, শাহ শামীম, জামাল খান ও আবুল কালাম মিসলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১১
0 comments:
Post a Comment