ঢাকা: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বিতর্কিত করতে ব্রিটেনের হাউস অব লর্ডসে সেন্টার ফর সো্স্যাল ডেভেলপমেন্ট (বিসিএসডি)নামের একটি সংগঠন অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
গত সোমবার হাউস অব লর্ডসে ব্রিটিশ মূলধারার কোন এমপি ও প্রতিনিধি ছাড়াই এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড তারিক আহমেদ সভাপতিত্ব করলেও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত সমমনাদের আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই করেননি তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে শুধু বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের একজন বন্ধু এবং সব সময় বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে চান। লর্ড আহমেদ ছাড়া ব্রিটিশ মূল ধারার আর কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে বিতর্কিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অপ্রপচার চলছে বেশ জোরেশোরে। ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিক, মানবাধিকার কর্মীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়েও এ বিষয়ে বিভিন্নভাবে লবিং চলছে।
জামায়াতে ইসলামীর নিয়োগকৃত তিনজন আইনজীবী তাদের আইনজীবীর ভূমিকা ছেড়ে লবিস্টের ভূমিকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে।
নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যানারে অহরহ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ব্রিটিশ মূলধারার বিভিন্ন পর্যায়ে। সোমবার বিসিএসডি`র ব্যানারে হাউস অব লর্ডসে আয়োজিত সেমিনার নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চলছিল তোড়জোড়।
ব্রিটিশ রাজনীতিকদের কাছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে এই সেমিনার মূলত: জামায়াতের ইন্ধনেই আয়োজন করা হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন শুরু করে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনও নড়াচড়া শুরু করেছে বিষয়টি নিয়ে। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় লর্ড আহমেদসহ অনেকের সাথে। সেমিনারের উদ্দেশ্য অবহিত করে সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে ব্রিটিশ এমপিদের সাথে শুরু হয় লবিং।
লবিংয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই সেমিনারের নামে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে ব্রিটিশ এমপি ও রাজনীতিকদের। এমন কথাই জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির ক্যাম্পেইনারদের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত নিজেদের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার অবস্থা আঁচ করতে পেরে জামায়াত সমর্থক বলে পরিচিত নেতারা আর সেমিনারে উপস্থিত হননি।
এটি একটি সাধারণ রাজনৈতিক সেমিনার হিসেবেই প্রমাণ করতে চেয়েছেন ব্রিটিশদের কাছে। কিন্ত এতেও লাভ হয়নি। একমাত্র লর্ড আহমেদ ছাড়া আর কোনও ব্রিটিশ রাজনীতিক উপস্থিত হননি সেমিনারে। লর্ড আহমেদও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের বন্ধু এবং বাংলাদেশের প্রতি সব সময়ই সহানুভূতিশীল থাকতে চান। শেষ পর্যন্ত আশাভঙ্গ মন নিয়েই সেমিনার শেষ করেন উদ্যোক্তারা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক। মূল প্রবন্ধে ব্রিটিশ এমপিসহ মূল ধারার বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীর আলোচনা করার কথা থাকলেও তাদের কেউই উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি-জামায়াত ঘরানার দলীয় নেতা ও সমমনারাই বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, ত্রুটিপূর্ণ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সীমান্তে বিএসএফের অব্যাহত বাংলাদেশি হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বলা হয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন।
প্রবন্ধে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেম পুন:স্থাপনের করার দাবি জানিয়ে বলা হয়- দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমের বিকল্প নেই। নিরাপত্তা হেফাজতে ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাও অবিলম্বে বন্ধের আহবান জানানো হয় প্রবন্ধে।
প্রবন্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারেরও আবেদন জানানো হয়। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. কে এম এ মালিক, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, শামসুল আলম লিটন, মেজর(অব:)ফারুক, তৈমুছ আলী, আনোয়ার হোসেন খান, ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি`র সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিসিএসডি`র চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১১
সভাপতির বক্তব্যে শুধু বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের একজন বন্ধু এবং সব সময় বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে চান। লর্ড আহমেদ ছাড়া ব্রিটিশ মূল ধারার আর কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে বিতর্কিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে অপ্রপচার চলছে বেশ জোরেশোরে। ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিক, মানবাধিকার কর্মীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়েও এ বিষয়ে বিভিন্নভাবে লবিং চলছে।
জামায়াতে ইসলামীর নিয়োগকৃত তিনজন আইনজীবী তাদের আইনজীবীর ভূমিকা ছেড়ে লবিস্টের ভূমিকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে।
নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যানারে অহরহ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ব্রিটিশ মূলধারার বিভিন্ন পর্যায়ে। সোমবার বিসিএসডি`র ব্যানারে হাউস অব লর্ডসে আয়োজিত সেমিনার নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চলছিল তোড়জোড়।
ব্রিটিশ রাজনীতিকদের কাছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে এই সেমিনার মূলত: জামায়াতের ইন্ধনেই আয়োজন করা হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন শুরু করে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনও নড়াচড়া শুরু করেছে বিষয়টি নিয়ে। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় লর্ড আহমেদসহ অনেকের সাথে। সেমিনারের উদ্দেশ্য অবহিত করে সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে ব্রিটিশ এমপিদের সাথে শুরু হয় লবিং।
লবিংয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই সেমিনারের নামে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে ব্রিটিশ এমপি ও রাজনীতিকদের। এমন কথাই জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির ক্যাম্পেইনারদের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত নিজেদের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার অবস্থা আঁচ করতে পেরে জামায়াত সমর্থক বলে পরিচিত নেতারা আর সেমিনারে উপস্থিত হননি।
এটি একটি সাধারণ রাজনৈতিক সেমিনার হিসেবেই প্রমাণ করতে চেয়েছেন ব্রিটিশদের কাছে। কিন্ত এতেও লাভ হয়নি। একমাত্র লর্ড আহমেদ ছাড়া আর কোনও ব্রিটিশ রাজনীতিক উপস্থিত হননি সেমিনারে। লর্ড আহমেদও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের বন্ধু এবং বাংলাদেশের প্রতি সব সময়ই সহানুভূতিশীল থাকতে চান। শেষ পর্যন্ত আশাভঙ্গ মন নিয়েই সেমিনার শেষ করেন উদ্যোক্তারা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক। মূল প্রবন্ধে ব্রিটিশ এমপিসহ মূল ধারার বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীর আলোচনা করার কথা থাকলেও তাদের কেউই উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপি-জামায়াত ঘরানার দলীয় নেতা ও সমমনারাই বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, ত্রুটিপূর্ণ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সীমান্তে বিএসএফের অব্যাহত বাংলাদেশি হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বলা হয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন।
প্রবন্ধে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেম পুন:স্থাপনের করার দাবি জানিয়ে বলা হয়- দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমের বিকল্প নেই। নিরাপত্তা হেফাজতে ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাও অবিলম্বে বন্ধের আহবান জানানো হয় প্রবন্ধে।
প্রবন্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারেরও আবেদন জানানো হয়। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. কে এম এ মালিক, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, শামসুল আলম লিটন, মেজর(অব:)ফারুক, তৈমুছ আলী, আনোয়ার হোসেন খান, ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি`র সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিসিএসডি`র চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১১
0 comments:
Post a Comment