লন্ডন: বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশ সরকারের ভাড়াটে হিসেবে তারেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। এই সাক্ষ্য বা বিচারের প্রতি বিএনপি ও দেশবাসীর কোনো আস্থা নেই। বিএনপি এই বিচার মানেও না।
বর্তমানে লন্ডন সফররত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ সোমবার রাতে লন্ডনের একটি বাংলা টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফারুক বলেন, `এটিই শেষ সময় নয়, বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে ভবিষ্যতেও এফবিআই আসবে। তবে সেই আসা আর আজকের এফবিআইয়ের আসা এক ধরনের হবে না।`
বর্তমানে লন্ডন সফররত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ সোমবার রাতে লন্ডনের একটি বাংলা টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফারুক বলেন, `এটিই শেষ সময় নয়, বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে ভবিষ্যতেও এফবিআই আসবে। তবে সেই আসা আর আজকের এফবিআইয়ের আসা এক ধরনের হবে না।`
অবশ্য ভবিষ্যতের এফবিআই আসা কী ধরনের হবে তা খোলাসা করেননি তিনি।
ভাড়াটে হিসেবে এফবিআই প্রতিনিধির সাক্ষ্য দেওয়া বিষয়ে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো অভিযোগ করেছে কি না, টিভি সাক্ষাৎকারের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘এটি বলার সময় এখনও আসেনি। সময় এলে এ বিষয়ে জানানো হবে।’
ফারুক বলেন,` মিথ্যা মামলা দিয়ে জিয়া পরিবারকে হয়রানি করে সরকার মনে করছে জাতীয় বিভিন্ন সংকট থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখবে, কিন্তু মানুষ এখন আর এত বোকা নয়। এটি সরকারকে বুঝতে হবে।`
ভাড়াটে হিসেবে এফবিআই প্রতিনিধির সাক্ষ্য দেওয়া বিষয়ে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো অভিযোগ করেছে কি না, টিভি সাক্ষাৎকারের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘এটি বলার সময় এখনও আসেনি। সময় এলে এ বিষয়ে জানানো হবে।’
ফারুক বলেন,` মিথ্যা মামলা দিয়ে জিয়া পরিবারকে হয়রানি করে সরকার মনে করছে জাতীয় বিভিন্ন সংকট থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখবে, কিন্তু মানুষ এখন আর এত বোকা নয়। এটি সরকারকে বুঝতে হবে।`
এফবিআই প্রতিনিধির সাক্ষ্য দেওয়ার পর তারেকের কী প্রতিক্রিয়া, টিভি সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কিসের প্রতিক্রিয়া? নিত্যদিন যেখানে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সরকারি নির্যাতন ভোগ করতে হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে জিয়া পরিবারের সদস্যদের। আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এক কাপড়ে খালেদা জিয়াকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ভাড়াটিয়া হয়ে এফবিআই প্রতিনিধি কী সাক্ষ্য দিলেন, তাতে তারেক বা বিএনপির কিছু আসে যায় না। আমরা এ বিচার মানি না। যেখানে এই সরকারকেই আমরা মানছি না, সেখানে সরকারের ভাড়াটে হিসেবে কে কী সাক্ষী দিয়েছে এটি নিয়ে আলাদাভাবে ভাবার কিছু নেই।’
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে হাস্যকর একটি উদ্যোগ উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতাদের হয়রানি করার জন্যে নেওয়া এইসব উদ্যোগ জনগণের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এটি শুধু বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি হিসেবেই জনগণের কাছে বিবেচিত হচ্ছে।’
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সম্প্রতি ভারত সরকারের একটি চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ফারুক বলেন,‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে কথা দিলেন বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না ভারত, সেখানে এখন বাঁধ নির্মাণের জন্যে চুক্তি করে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। কিন্তু এত বিশ্বাসঘাতকতার পরও সরকার তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করছে না।’
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আসলে এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের স্বার্থের বিনিময়ে হলেও ক্ষমতায় আসার জন্য ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সাথে যে চুক্তি করেছিল, ভারতের কাছে নতজানু হওয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণগুলো এই চুক্তিরই ফল।’
জয়নাল আবদিন ফারুক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, `গণবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ ৭৫-পূর্ব আওয়ামী লীগের আস্ফালন যেমন দেখেছে, ঠেক তেমনি পতনও দেখেছে।`
উল্লেখ্য, গত রোববার এক সফরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক লন্ডনে আসেন। তার এই সফর ব্যক্তিগত চিকিৎসার প্রয়োজনে না কি রাজনৈতিক তা এখনও পরিষ্কার করে জানা যায়নি। তবে বিএনপির সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায় ফারুক বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারেক রহমানের সাথে পরামর্শ করার জন্যে লন্ডন এসেছেন।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে হাস্যকর একটি উদ্যোগ উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতাদের হয়রানি করার জন্যে নেওয়া এইসব উদ্যোগ জনগণের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এটি শুধু বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি হিসেবেই জনগণের কাছে বিবেচিত হচ্ছে।’
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সম্প্রতি ভারত সরকারের একটি চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ফারুক বলেন,‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে কথা দিলেন বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না ভারত, সেখানে এখন বাঁধ নির্মাণের জন্যে চুক্তি করে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। কিন্তু এত বিশ্বাসঘাতকতার পরও সরকার তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করছে না।’
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘আসলে এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের স্বার্থের বিনিময়ে হলেও ক্ষমতায় আসার জন্য ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের সাথে যে চুক্তি করেছিল, ভারতের কাছে নতজানু হওয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণগুলো এই চুক্তিরই ফল।’
জয়নাল আবদিন ফারুক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, `গণবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ ৭৫-পূর্ব আওয়ামী লীগের আস্ফালন যেমন দেখেছে, ঠেক তেমনি পতনও দেখেছে।`
উল্লেখ্য, গত রোববার এক সফরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক লন্ডনে আসেন। তার এই সফর ব্যক্তিগত চিকিৎসার প্রয়োজনে না কি রাজনৈতিক তা এখনও পরিষ্কার করে জানা যায়নি। তবে বিএনপির সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায় ফারুক বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারেক রহমানের সাথে পরামর্শ করার জন্যে লন্ডন এসেছেন।
এরই মধ্যে বৈঠকও হয়েছে তারেকের সাথে তার। ঐ সূত্র জানায়, ১৫ই ডিসেম্বর পর্য্ন্ত তিনি লন্ডন অবস্থান করতে পারেন। এই সময়ে তিনি তাদের ভাষায় বাংলাদেশ `সরকারের বিভিন্ন গণবিরোধী ইস্যু` নিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে লবি করবেন বলেও ঐ সূত্র বাংলানিউজকে জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১১
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১১
0 comments:
Post a Comment