লন্ডন: ১৯৩৬ সালে সূচিত বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ‘ব্যাটল অব ক্যাবল স্ট্রিট’ এর ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে হয়ে গেল বর্ণাঢ্য শান্তি র্যালি ও সমাবেশ। সব ধর্মবর্ণের মানুষের সাথে রোববার টাওয়ার হ্যামলেটসে লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক মানুষও অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শেষে ৭০ ও ৮০-র দশকের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের বাঙালি নেতারা আবারও দৃপ্ত ঘোষণা করেছেন, বিলেতে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কমিউনিটির সব অর্জন অসাম্প্রদায়িক বাঙালি পরিচয়েই। বাঙালির আত্মপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা বলেন, কোনও উগ্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মতবাদের সাথে বাঙালির পরিচয় যারা একাকার করতে চান, তারা কমিউনিটির শত্র“, এদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
রোববার দুপুরে ‘ব্যাটল অব ক্যাবল স্ট্রিট’ এর ৭৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত র্যালি ও শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের সাথে মিলিত হয়েছিলেন ৭০ ও ৮০ এর দশকের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের যুব নেতারা। এখনও তারা সেই সময়কার নেতৃত্বের জন্যে কমিউনিটির কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।
অনুষ্ঠান শেষে ৭০ ও ৮০-র দশকের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের বাঙালি নেতারা আবারও দৃপ্ত ঘোষণা করেছেন, বিলেতে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে কমিউনিটির সব অর্জন অসাম্প্রদায়িক বাঙালি পরিচয়েই। বাঙালির আত্মপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা বলেন, কোনও উগ্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মতবাদের সাথে বাঙালির পরিচয় যারা একাকার করতে চান, তারা কমিউনিটির শত্র“, এদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
রোববার দুপুরে ‘ব্যাটল অব ক্যাবল স্ট্রিট’ এর ৭৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত র্যালি ও শান্তি সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের সাথে মিলিত হয়েছিলেন ৭০ ও ৮০ এর দশকের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের যুব নেতারা। এখনও তারা সেই সময়কার নেতৃত্বের জন্যে কমিউনিটির কাছে শ্রদ্ধার পাত্র।
উল্লেখ্য, ১৯৩৬ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার ক্যাবল স্ট্রিটে বর্ণবাদী মাইগ্রেন্ট ইহুদি কমিউনিটির বিরুদ্ধে বর্ণবাদী কালসার্টরা র্যালি করতে চাইলে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শুভবুদ্ধি স¤পন্ন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তা ভেস্তে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে বর্ণবাদী সংগঠন ইংলিশ ডিফেন্স লিগ (ইডিএল) এর নতুন অপতৎপরতা প্রতিরোধে শক্তি ও সাহস সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ১৯৩৬ সালের ঐ দিন থেকে প্রেরণা গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বর্ণ ও ধর্মের ৩৯টি সংগঠনের উদ্যোগে এবার ‘ব্যাটল অব ক্যাবল স্ট্রিট’ নামে র্যালি ও শান্তি সমাবেশ হয়।
রোববার দুপুরে টাওয়ার হ্যামলেটস এর অলগেট ইস্ট স্টেশন থেকে বের করা হয় বর্ণবাদবিরোধী র্যালি। র্যালিটি লন্ডনের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সেইন্ট জর্জ ইস্ট গার্ডেনে গিয়ে শেষ হয় এবং এখানেই অনিষ্ঠিত হয় শান্তি সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন বৃটেনের বহুজাতিক সমাজে সকল ধর্ম ও বর্ণের সমঅধিকার। এখানে উগ্রবাদ ও বর্ণবাদের স্থান নেই। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্রবাদ ও বর্ণবাদ প্রতিরোধ করার দৃপ্ত শপথ উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১৯৩৬ সালের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা সে সময়কার যুবক ৯৬ বছর বয়স্ক ম্যাক্স লেভিস। পরে বিভিন্ন সময় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাঙালিদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলার রাজন উদ্দিন জালাল, আকিকুর রহমান আকিক, কাউন্সিলার খছরু উদ্দিন ও জুলি বেগম প্রমুখ।
সাম্প্রতিক সময়ে বর্ণবাদী সংগঠন ইংলিশ ডিফেন্স লিগ (ইডিএল) এর নতুন অপতৎপরতা প্রতিরোধে শক্তি ও সাহস সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ১৯৩৬ সালের ঐ দিন থেকে প্রেরণা গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বর্ণ ও ধর্মের ৩৯টি সংগঠনের উদ্যোগে এবার ‘ব্যাটল অব ক্যাবল স্ট্রিট’ নামে র্যালি ও শান্তি সমাবেশ হয়।
রোববার দুপুরে টাওয়ার হ্যামলেটস এর অলগেট ইস্ট স্টেশন থেকে বের করা হয় বর্ণবাদবিরোধী র্যালি। র্যালিটি লন্ডনের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সেইন্ট জর্জ ইস্ট গার্ডেনে গিয়ে শেষ হয় এবং এখানেই অনিষ্ঠিত হয় শান্তি সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন বৃটেনের বহুজাতিক সমাজে সকল ধর্ম ও বর্ণের সমঅধিকার। এখানে উগ্রবাদ ও বর্ণবাদের স্থান নেই। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্রবাদ ও বর্ণবাদ প্রতিরোধ করার দৃপ্ত শপথ উচ্চারণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১৯৩৬ সালের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা সে সময়কার যুবক ৯৬ বছর বয়স্ক ম্যাক্স লেভিস। পরে বিভিন্ন সময় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাঙালিদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলার রাজন উদ্দিন জালাল, আকিকুর রহমান আকিক, কাউন্সিলার খছরু উদ্দিন ও জুলি বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, একসময় পূর্ব লন্ডনে মাইগ্রেন্ট ইহুদি সম্প্রদায়ের আগমন ঘটলে সে সময়কার বর্র্ণবাদী নেতা অজওয়াল মোজলির নেতৃত্বে কালসার্ট হিসেবে পরিচিত বর্ণবাদী গোষ্ঠী ঘোষণা দিয়ে ইষ্ট লন্ডন থেকে মাইগ্রেন্টদের বিতাড়িত করতে ক্যাবল স্ট্রিটে আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নেয়। তৎকালীন সময়কার বর্ণবাদবিরোধী নেতা সে সময়কার যুবক ৯৬ বছর বয়স্ক ম্যাক্স লেভিসের নেতৃত্বে জনতা বর্নবাদীদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। ওইদিন আগ থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। শান্তিকামী জনতার প্রতিরোধের মুখে সেদিন বর্ণবাদী গেষ্ঠী পূবর্ লন্ডনের ক্যাবল স্ট্রিটেটে প্রবেশ করতে পারেনি। তার পরেও বর্ণবাদীরা বসে থাকেনি; তারা বিভিন্ন সময় মাইগ্রেন্ট কমিউনিটির উপর আক্রমণ চালায়।
যুগে যুগে এরা বিভিন্ন নামে শান্তিকামী মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর ব্যানারে এরা মাইগ্রেন্টদের উপর চড়াও হয়। তখনও তারা সফল হতে পারেনি। ১৯৭০ এবং ১৯৯০ সালে বাঙালিরা বর্ণবাদীদের প্রতিহত করলে এই গোষ্ঠী ব্রিকলেন ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৯৭৮ সালে বর্ণবাদী আক্রমণে নিহত হন আলতাব আলী নামের এক বীর বাঙালি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে ইস্ট লন্ডনে একটি পার্কের নামকরণ করা হয় শহীদ আলতাব আলী পার্ক। আর এখানে বাঙালিরা ১৯৫২-র ভাষাশহিদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠা করেন স্থায়ী শহিদমিনার। বর্তমানে নতুন করে গজিয়ে উঠছে বর্ণবাদী ইংলিশ ডিফেন্স লিগ (ইডিএল) ।
সম্প্রতি এরা ইসলামী মৌলবাদীদের আবাসস্থল হিসেবে টাওয়ার হ্যামলেটসকে অভিযুক্ত করে এই এলাকায় র্যালি করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সম্মিলিত বাধার মুখে এরা টাওয়ার হ্যামলেটসে সমাবেশ বা র্যালি করতে পারেনি। টাওয়ার হ্যামলেটস এর এমপি রোশনারা আলী ও মেয়র লুৎফুর রহমানসহ দলমত নির্বিশেষে সবাই ইডিএল এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলে ব্যর্থ হয় ইডিএল এর পরিকল্পনা। কিন্তু এরপরও ইডিএল বসে নেই। ওরা আবারও হুমকি দিচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় সমাবেশ করার।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১১
যুগে যুগে এরা বিভিন্ন নামে শান্তিকামী মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর ব্যানারে এরা মাইগ্রেন্টদের উপর চড়াও হয়। তখনও তারা সফল হতে পারেনি। ১৯৭০ এবং ১৯৯০ সালে বাঙালিরা বর্ণবাদীদের প্রতিহত করলে এই গোষ্ঠী ব্রিকলেন ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৯৭৮ সালে বর্ণবাদী আক্রমণে নিহত হন আলতাব আলী নামের এক বীর বাঙালি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে ইস্ট লন্ডনে একটি পার্কের নামকরণ করা হয় শহীদ আলতাব আলী পার্ক। আর এখানে বাঙালিরা ১৯৫২-র ভাষাশহিদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠা করেন স্থায়ী শহিদমিনার। বর্তমানে নতুন করে গজিয়ে উঠছে বর্ণবাদী ইংলিশ ডিফেন্স লিগ (ইডিএল) ।
সম্প্রতি এরা ইসলামী মৌলবাদীদের আবাসস্থল হিসেবে টাওয়ার হ্যামলেটসকে অভিযুক্ত করে এই এলাকায় র্যালি করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সম্মিলিত বাধার মুখে এরা টাওয়ার হ্যামলেটসে সমাবেশ বা র্যালি করতে পারেনি। টাওয়ার হ্যামলেটস এর এমপি রোশনারা আলী ও মেয়র লুৎফুর রহমানসহ দলমত নির্বিশেষে সবাই ইডিএল এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলে ব্যর্থ হয় ইডিএল এর পরিকল্পনা। কিন্তু এরপরও ইডিএল বসে নেই। ওরা আবারও হুমকি দিচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় সমাবেশ করার।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১১
0 comments:
Post a Comment