কমিউনিটিতে উত্তেজনা
ইস্ট লন্ডন মসজিদে বর্ণবাদীদের হামলার চেষ্টা
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ইডিএল কর্মীর সাথে কথা বলছে পুলিশ |
লন্ডন : পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত হোয়াইট চ্যাপেল রোডের ইস্ট লন্ডন মসজিদে আবারও হামলার চেষ্টা করেছে ব্রিটেনের চরম বর্ণবাদী সংগঠন ইংলিশ ডিফেন্স লীগ (ইডিএল)।
গত শনিবার মাগরিবের নামাজের পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিট) মসজিদের উল্টোদিকে অবস্থিত একটি পাব থেকে ইডিএল কর্মীরা এই হামলার চেষ্টা করে। পাবের সামনের দিক থেকে ইডিএল-এর কয়েকজন কর্মী নামাজে আসা মুসল্লিদের উদ্দেশে হঠাৎ করে মদের বোতল ছুঁড়ে আক্রমণের সূচনা করলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ইডিএল কর্মীদের মদের বোতল ছোড়ার সাথে সাথেই উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন, শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষ শুরুর সাথে সাথে পাবের আশপাশে লুকিয়ে থাকা আরো ইডিএল কর্মীরা এসে সংঘর্ষ সূচনাকারী কর্মীদের সাথে যোগ দেয়। সংঘর্ষের খবরে দ্রুত পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বেথনালগ্রীণ-বো আসনের এমপি রোশনারা আলী খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে এসে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পরে তিনি সবাইকে আশ্বস্থ করেন। বিষয়টি হোম সেক্রেটারিকে অবহিত করে পার্লামেন্টেও তুলবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন কমিউনিটিকে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান পুলিশের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত ইডিএল সদস্যদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ করে ইডিএল পূর্ব লন্ডনে কেনো এ হামলা চালালো সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে এতে ইস্ট লন্ডন মসজিদের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইডিএল কর্মীদের আক্রমণ নিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে রোশনারা আলী এমপি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকেলে গ্রেটার লন্ডনের বার্কিং এলাকায় ইডিএলের একটি র্যালি ছিল। সেখান থেকে পরিকল্পনা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। বার্কিং এর ওই র্যালি থেকে পুলিশ ৫ জন ইডিএল কর্মীকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বাঙালিপাড়াখ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটসে আসে উগ্র বর্ণবাদী দল ইডিএল নেতা-কর্মীদের একটি দল। তবে সেদিন বাঙালি কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
ওইদিন ইডিএল বিরোধী পাল্টা শো-ডাউনও করে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা। হোম সেক্রেটারি ইডিএল’র মার্চ নিষিদ্ধ করলেও প্রায় ৬শ’ সদস্যের শোডাউন ব্যর্থ হয় মূলত পুলিশি বাধা ও কমিউনিটির মানুষের প্রতিরোধের মুখে। সেদিন পুলিশ ৪৪ জন ইডিএল কর্মীকে আটক করেছিল।
গত শনিবার মাগরিবের নামাজের পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিট) মসজিদের উল্টোদিকে অবস্থিত একটি পাব থেকে ইডিএল কর্মীরা এই হামলার চেষ্টা করে। পাবের সামনের দিক থেকে ইডিএল-এর কয়েকজন কর্মী নামাজে আসা মুসল্লিদের উদ্দেশে হঠাৎ করে মদের বোতল ছুঁড়ে আক্রমণের সূচনা করলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ইডিএল কর্মীদের মদের বোতল ছোড়ার সাথে সাথেই উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন, শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষ শুরুর সাথে সাথে পাবের আশপাশে লুকিয়ে থাকা আরো ইডিএল কর্মীরা এসে সংঘর্ষ সূচনাকারী কর্মীদের সাথে যোগ দেয়। সংঘর্ষের খবরে দ্রুত পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বেথনালগ্রীণ-বো আসনের এমপি রোশনারা আলী খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে এসে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পরে তিনি সবাইকে আশ্বস্থ করেন। বিষয়টি হোম সেক্রেটারিকে অবহিত করে পার্লামেন্টেও তুলবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন কমিউনিটিকে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান পুলিশের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত ইডিএল সদস্যদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ করে ইডিএল পূর্ব লন্ডনে কেনো এ হামলা চালালো সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে এতে ইস্ট লন্ডন মসজিদের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইডিএল কর্মীদের আক্রমণ নিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে রোশনারা আলী এমপি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকেলে গ্রেটার লন্ডনের বার্কিং এলাকায় ইডিএলের একটি র্যালি ছিল। সেখান থেকে পরিকল্পনা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। বার্কিং এর ওই র্যালি থেকে পুলিশ ৫ জন ইডিএল কর্মীকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বাঙালিপাড়াখ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটসে আসে উগ্র বর্ণবাদী দল ইডিএল নেতা-কর্মীদের একটি দল। তবে সেদিন বাঙালি কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
ওইদিন ইডিএল বিরোধী পাল্টা শো-ডাউনও করে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা। হোম সেক্রেটারি ইডিএল’র মার্চ নিষিদ্ধ করলেও প্রায় ৬শ’ সদস্যের শোডাউন ব্যর্থ হয় মূলত পুলিশি বাধা ও কমিউনিটির মানুষের প্রতিরোধের মুখে। সেদিন পুলিশ ৪৪ জন ইডিএল কর্মীকে আটক করেছিল।
এর আগে ইডিএল যখন তাদের র্যালির তারিখ ঘোষণা করেছিল, তখন সেটি নিষিদ্ধের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় স্থানীয় ২৫ হাজার বাসিন্দার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও রোশনারা আলী এমপি মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবরে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১২
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১২
0 comments:
Post a Comment