যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সমর্থন করে ব্রিটিশ ফরেন অফিস
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে ব্রিটিশ ফরেন অফিস। গোলাম আযমের গ্রেপ্তার ও এর প্রতিক্রিয়ায় আযমপুত্র নোমান আযমীর মন্তব্য সম্পৃক্ত ম্যানচেষ্টার ইভিনিং নিউজের রিপোর্টে ব্রিটিশ ফরেন অফিসের একজন মুখপাত্রের করা মন্তব্যে এই সমর্থনের কথা জানানো হয়।
ফরেন অফিস মুখপাত্র ম্যানচেষ্টার ইভিনিং নিউজকে বলেন, যেহেতু তথ্য উপাত্ত সাক্ষী দিচ্ছে যে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেহেতু আমরা এর বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে সমর্থন করি।
তবে ট্রাইব্যুনালের বিচার যেন স্বচ্ছ, গ্রহনযোগ্য
ও আন্তর্জাতিক মানের হয়, এটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আইনী সহায়তা ও মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে ট্রাইব্যুনালের।
বিচার প্রাপ্তি নিয়ে সন্দিহান আযম পুত্র: জামাতের সাবেক আমীর ও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ১৯৭৩ সালে ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টার সিটিতে এক সভায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতা করে বক্তব্য রেখেছিলেন। ম্যানচেষ্টার থেকে প্রকাশিত ব্রিটেনের প্রভাবশালী আঞ্চলিক পত্রিকা ‘ম্যানেচষ্টার ইভিনিং নিউজ’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সোমবার ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘ম্যানেচষ্টার ইভিনিং নিউজ’ এ গোলাম আযমের গ্রেপ্তারে ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত তাঁর এক ছেলে নোমান আজমীর সাক্ষাতকার ভিত্তিক এক রিপোর্ট প্রকাশকালে গোলাম আযমের বাংলাদেশ বিরোধী ওই বক্তৃতার তথ্য জানানো হয়।
রিপোর্টে ৭৩ সালে গোলাম আযমের বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্যকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মন্তব্য করে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্মের পর ম্যানচেষ্টারে গোলাম আযম দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসনে ছিলেন। ওই সময়ই তিনি বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের আইকন হিসেবে পরিণত
হওয়া গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত গোলাম আযম পরিবার তাঁর ন্যায় বিচার
নিয়ে সন্দিহান।
গোলাম আযম পুত্র ৪৯ বছর বয়সী নোমান আযমীর উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, স্বাধীনতার পক্ষের
দাবিদার একটি সংগঠন নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে বিচারের নামে এই প্রহসনের আয়োজন করেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিপক্ষে তারাও নন- এমন মন্তব্য করে গোলাম আযম পুত্র নোমান আযমী ম্যানচেষ্টার
ইভিনিং নিউজকে বলেন, কিন্তু এই বিচার যে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে না, তা আমরা নিশ্চিত। বর্তমান সরকার তাঁর বাবাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করতে পারে।
নোমান আযমী জানান, আধ্যাত্মিক চিন্তা চেতনার দিক থেকে গোলাম আযম শক্ত থাকলেও শারিরীক দিক থেকে তিনি খুবই দুর্বল। একা হাটাচলা করতে পারেন না।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩০ বছর যাবত গোলাম আযমের চার ছেলে ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টার এলাকার স্টকপোর্টে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গোলাম আযম ব্রিটেনে চলে আসার পর দীর্ঘ ৬ বছর ষ্টকপোর্ট-এ বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১২
ফরেন অফিস মুখপাত্র ম্যানচেষ্টার ইভিনিং নিউজকে বলেন, যেহেতু তথ্য উপাত্ত সাক্ষী দিচ্ছে যে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেহেতু আমরা এর বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে সমর্থন করি।
তবে ট্রাইব্যুনালের বিচার যেন স্বচ্ছ, গ্রহনযোগ্য
ও আন্তর্জাতিক মানের হয়, এটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আইনী সহায়তা ও মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে ট্রাইব্যুনালের।
বিচার প্রাপ্তি নিয়ে সন্দিহান আযম পুত্র: জামাতের সাবেক আমীর ও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ১৯৭৩ সালে ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টার সিটিতে এক সভায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতা করে বক্তব্য রেখেছিলেন। ম্যানচেষ্টার থেকে প্রকাশিত ব্রিটেনের প্রভাবশালী আঞ্চলিক পত্রিকা ‘ম্যানেচষ্টার ইভিনিং নিউজ’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সোমবার ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘ম্যানেচষ্টার ইভিনিং নিউজ’ এ গোলাম আযমের গ্রেপ্তারে ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত তাঁর এক ছেলে নোমান আজমীর সাক্ষাতকার ভিত্তিক এক রিপোর্ট প্রকাশকালে গোলাম আযমের বাংলাদেশ বিরোধী ওই বক্তৃতার তথ্য জানানো হয়।
রিপোর্টে ৭৩ সালে গোলাম আযমের বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্যকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মন্তব্য করে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্মের পর ম্যানচেষ্টারে গোলাম আযম দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসনে ছিলেন। ওই সময়ই তিনি বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের আইকন হিসেবে পরিণত
হওয়া গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবত ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত গোলাম আযম পরিবার তাঁর ন্যায় বিচার
নিয়ে সন্দিহান।
গোলাম আযম পুত্র ৪৯ বছর বয়সী নোমান আযমীর উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, স্বাধীনতার পক্ষের
দাবিদার একটি সংগঠন নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে বিচারের নামে এই প্রহসনের আয়োজন করেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিপক্ষে তারাও নন- এমন মন্তব্য করে গোলাম আযম পুত্র নোমান আযমী ম্যানচেষ্টার
ইভিনিং নিউজকে বলেন, কিন্তু এই বিচার যে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে না, তা আমরা নিশ্চিত। বর্তমান সরকার তাঁর বাবাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করতে পারে।
নোমান আযমী জানান, আধ্যাত্মিক চিন্তা চেতনার দিক থেকে গোলাম আযম শক্ত থাকলেও শারিরীক দিক থেকে তিনি খুবই দুর্বল। একা হাটাচলা করতে পারেন না।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩০ বছর যাবত গোলাম আযমের চার ছেলে ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টার এলাকার স্টকপোর্টে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গোলাম আযম ব্রিটেনে চলে আসার পর দীর্ঘ ৬ বছর ষ্টকপোর্ট-এ বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১২
0 comments:
Post a Comment