লন্ডনের হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করবে রাজ্জাক পরিবার
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন : চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে লন্ডন কিংস কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার।
মামলা করার এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে জনাব রাজ্জাকের শ্যালক ফুয়াদ লতিফ বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হচ্ছে, ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করেই মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের আইনজীবী।
তিনি জানান, কিডনি ও লিভারদাতা নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া গেলেও অপারেশনের সিদ্ধান্তে কিংস কলেজ হাসপাতালের ধীরগতির কারণেই আব্দুর রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা ক্রমশঃ অবনতির দিকে চলে গিয়েছিল। আর অপারেশনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ধীরগতিকে তারা অবহেলা হিসেবেই দেখছেন বলে এ বিষয়ে মামলার চিন্তা করছেন। তবে আইনজীবীর পরামর্শের ওপরই নির্ভর করবে আইনের আশ্রয় নেওয়া না নেওয়ার বিষয়টি, এমনটিই বাংলানিউজকে জানলেন লন্ডনে বসবাসরত রাজ্জাকের শ্যালক ফুয়াদ লতিফ।
উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে নাঈম ও ফাহিম রাজ্জাক তাদের বাবার চিকিৎসায় কিংস কলেজ হাসপাতালের অবহেলার অভিযোগ এনেছিলেন। মৃত্যু পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা বলেছিলেন, কিংস কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিভার ও কিডনিদাতাদের পরীক্ষা-নীরিক্ষার দীর্ঘসূত্রতায় তারা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ। তাদের অভিমত, এই দীর্ঘসূত্রতা না হলে তাদের বাবা হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে বাংলানিউজের কাছে একান্ত প্রতিক্রিয়ায় নাঈম বলেছিলেন, ‘কিডনি ও লিভার ডোনারদের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময় নিয়েছে ৫২ দিন। অথচ আমাদের কাছে তৈরি ছিলেন ৮ জন ডোনার।
ছোট ছেলে ফাহিমের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল এমন, ‘বাবা প্রতিদিনই আশায় আশায় থাকতেন কখন তার লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের অপারেশন করা হবে। ১১ ডিসেম্বর অপারেশনের তারিখ ঠিক হওয়ার পর তোফায়েল চাচা যখন এলেন, তখন বাবা ছিলেন খুবই উৎফুল্ল। আমাদের বলেছেন, চিন্তা করো না, ২/১ দিনের মধ্যেই অপারেশনের কাজ শেষ হলে ভালো হয়ে উঠবো। কিন্তু ১১ ডিসেম্বরের একদিন আগেই যখন ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, ডোনারের কিডনি নেওয়া যাবে না, তখন থেকেই বাবা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হতে থাকেন। এরপরও আমরা আশা ছাড়িনি। পরবর্তী ডোনার সংগ্রহ করে অপেক্ষায় ছিলাম কখন ডাক্তাররা আবার অপারেশনের জন্যে ডাকবেন। কিন্তু সে ডাকা আর হলো না’।
ওই সময় ফাহিম বাংলানিউজকে বলেছিলেন, ‘কিংস কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত’।
মামলা করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নাঈম তখন বলেছিলেন, ‘এটা পরের বিষয়, আগে বাবাকে সমাহিত করে নেই’।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১২
মামলা করার এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে জনাব রাজ্জাকের শ্যালক ফুয়াদ লতিফ বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হচ্ছে, ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করেই মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের আইনজীবী।
তিনি জানান, কিডনি ও লিভারদাতা নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া গেলেও অপারেশনের সিদ্ধান্তে কিংস কলেজ হাসপাতালের ধীরগতির কারণেই আব্দুর রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থা ক্রমশঃ অবনতির দিকে চলে গিয়েছিল। আর অপারেশনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ধীরগতিকে তারা অবহেলা হিসেবেই দেখছেন বলে এ বিষয়ে মামলার চিন্তা করছেন। তবে আইনজীবীর পরামর্শের ওপরই নির্ভর করবে আইনের আশ্রয় নেওয়া না নেওয়ার বিষয়টি, এমনটিই বাংলানিউজকে জানলেন লন্ডনে বসবাসরত রাজ্জাকের শ্যালক ফুয়াদ লতিফ।
উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে নাঈম ও ফাহিম রাজ্জাক তাদের বাবার চিকিৎসায় কিংস কলেজ হাসপাতালের অবহেলার অভিযোগ এনেছিলেন। মৃত্যু পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা বলেছিলেন, কিংস কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিভার ও কিডনিদাতাদের পরীক্ষা-নীরিক্ষার দীর্ঘসূত্রতায় তারা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ। তাদের অভিমত, এই দীর্ঘসূত্রতা না হলে তাদের বাবা হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে বাংলানিউজের কাছে একান্ত প্রতিক্রিয়ায় নাঈম বলেছিলেন, ‘কিডনি ও লিভার ডোনারদের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময় নিয়েছে ৫২ দিন। অথচ আমাদের কাছে তৈরি ছিলেন ৮ জন ডোনার।
ছোট ছেলে ফাহিমের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল এমন, ‘বাবা প্রতিদিনই আশায় আশায় থাকতেন কখন তার লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের অপারেশন করা হবে। ১১ ডিসেম্বর অপারেশনের তারিখ ঠিক হওয়ার পর তোফায়েল চাচা যখন এলেন, তখন বাবা ছিলেন খুবই উৎফুল্ল। আমাদের বলেছেন, চিন্তা করো না, ২/১ দিনের মধ্যেই অপারেশনের কাজ শেষ হলে ভালো হয়ে উঠবো। কিন্তু ১১ ডিসেম্বরের একদিন আগেই যখন ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, ডোনারের কিডনি নেওয়া যাবে না, তখন থেকেই বাবা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হতে থাকেন। এরপরও আমরা আশা ছাড়িনি। পরবর্তী ডোনার সংগ্রহ করে অপেক্ষায় ছিলাম কখন ডাক্তাররা আবার অপারেশনের জন্যে ডাকবেন। কিন্তু সে ডাকা আর হলো না’।
ওই সময় ফাহিম বাংলানিউজকে বলেছিলেন, ‘কিংস কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত’।
মামলা করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নাঈম তখন বলেছিলেন, ‘এটা পরের বিষয়, আগে বাবাকে সমাহিত করে নেই’।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১২
0 comments:
Post a Comment