রাজ্জাক মৃত্যুহীন:সাবেক মন্ত্রী স্যার পিটার লয়েডস
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বক্তব্য রাখছেন স্যার পিটার লয়েডস- বাংলানিউজ |
ব্রাডি সেন্টার, লন্ডন থেকে : ‘একটি রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে যার নাম সম্পৃক্ত, দৈহিকভাবে তাঁর মৃত্যু হলেও আসলে তিনি মৃত্যুহীন। বাংলাদেশের পাশাপাশি দেশটির মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক নামটিও সব সময় উচ্চারিত হবে।’
রোববার বিকেল ৫টায় পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত ‘স্বাধীনতার চল্লিশ বছর-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ভূমিকা’ শীর্ষক এক নাগরিক শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ হোম অফিস সাবেক মিনিস্টার স্যার পিটার লয়েডস এ মন্তব্য করেন। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়া উদ্দিন লালার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আনিসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান গৌছ সুলতান, ফয়জুল ইসলাম লস্কর, অ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক বাদশা, জাতীয় পার্টি সভাপতি মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আহবাব চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সিলেট সরকারি এমসি কলেজের সাবেক ভিপি ইকবাল হোসেন, সাবেক জিএস ও টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর হেলাল রহমান ও প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি আহমেদ নুরুল টিপু প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী স্যার পিটার লয়েডস আরো বলেন, কিছু কিছু মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নেয় ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্যে। বাংলাদেশের প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক তেমনি একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তাঁর অনুসারীদের কাছে এটি আমি জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট একটি ভৌগলিক এলাকার অবহেলিত জনগণকে সংগঠিত করে ঐ এলাকাকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক যে ভূমিকা রেখেছেন, তা ইতিহাসের অংশ।
এই ইতিহাস বিশ্বের প্রতিটি এলাকার অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতন হতে শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সব অস্থিরতার চির অবসানই প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের কাম্য ছিল, এমনটিই ধারণা করেন পিটার লয়েডস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জন্মের পর এই রাষ্ট্রটিকে একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক। প্রয়াত রাজ্জাকের ঐ স্বপ্নের বাংলাদেশ কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত রাখতে সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত আজ সময়ের দাবি বলেই আমি মনে করি।
আর এটি করা সম্ভব হলেই রাজ্জাকের মতো মুক্তিযুদ্ধের প্রয়াত সংগঠকদের আত্মা শান্তি পাবে বলে মনে করেন পিটার লয়েডস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার সুযোগ আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে উজ্জল অধ্যায়।
জনগণের প্রতি, মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ববোধের শিক্ষা তাঁর কাছেই পেয়েছি। জীবনের শেষ সময়ে রাজ্জাকের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব যারা করেন তাদের উদ্দেশে শেখ শহীদ বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ট অর্জন মুক্তিযুদ্ধে রাজ্জাক ভাই ছিলেন একজন শীর্ষ সংগঠক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। বাঙালির মুক্তির ইতিহাস যেখানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ছাড়া রচনা করা সম্ভব নয়, সেখানে শেষ জীবনে তাঁর পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করার কি কোনো প্রয়োজন আছে?
শেখ শহীদ প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আব্দুর রাজ্জাক দেখেছিলেন- সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো কি না, এই হিসেবই এখন আমাদের করতে হবে। আর এই হিসেব যদি আমরা মিলাতে পারি তাহলেই মিলে যাবে আব্দুর রাজ্জাকের পাওয়া না পাওয়ার সব হিসেব।
অনুষ্ঠানের বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতির ক্ষনজন্মা ব্যক্তিদের যতবেশি আমরা শ্রদ্ধা জানাবো, ততই আমাদের নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম বিস্তৃত হবে।
বক্তারা ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে শাস্তির রায় কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানার ইমামকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক।
আজ যখন এই বিচার শুরু হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি পাওয়ার একটা সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে তখন তিনি চলে গেলেন। বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমেই প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের অসমাপ্ত আন্দোলন সমাপ্ত করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রোববার বিকেল ৫টায় পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত ‘স্বাধীনতার চল্লিশ বছর-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ভূমিকা’ শীর্ষক এক নাগরিক শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ হোম অফিস সাবেক মিনিস্টার স্যার পিটার লয়েডস এ মন্তব্য করেন। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা জিয়া উদ্দিন লালার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান আনিসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান গৌছ সুলতান, ফয়জুল ইসলাম লস্কর, অ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক বাদশা, জাতীয় পার্টি সভাপতি মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আহবাব চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সিলেট সরকারি এমসি কলেজের সাবেক ভিপি ইকবাল হোসেন, সাবেক জিএস ও টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর হেলাল রহমান ও প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি আহমেদ নুরুল টিপু প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী স্যার পিটার লয়েডস আরো বলেন, কিছু কিছু মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নেয় ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্যে। বাংলাদেশের প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক তেমনি একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তাঁর অনুসারীদের কাছে এটি আমি জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট একটি ভৌগলিক এলাকার অবহেলিত জনগণকে সংগঠিত করে ঐ এলাকাকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক যে ভূমিকা রেখেছেন, তা ইতিহাসের অংশ।
এই ইতিহাস বিশ্বের প্রতিটি এলাকার অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতন হতে শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সব অস্থিরতার চির অবসানই প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের কাম্য ছিল, এমনটিই ধারণা করেন পিটার লয়েডস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জন্মের পর এই রাষ্ট্রটিকে একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক। প্রয়াত রাজ্জাকের ঐ স্বপ্নের বাংলাদেশ কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত রাখতে সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত আজ সময়ের দাবি বলেই আমি মনে করি।
আর এটি করা সম্ভব হলেই রাজ্জাকের মতো মুক্তিযুদ্ধের প্রয়াত সংগঠকদের আত্মা শান্তি পাবে বলে মনে করেন পিটার লয়েডস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার সুযোগ আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে উজ্জল অধ্যায়।
জনগণের প্রতি, মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ববোধের শিক্ষা তাঁর কাছেই পেয়েছি। জীবনের শেষ সময়ে রাজ্জাকের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব যারা করেন তাদের উদ্দেশে শেখ শহীদ বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ট অর্জন মুক্তিযুদ্ধে রাজ্জাক ভাই ছিলেন একজন শীর্ষ সংগঠক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। বাঙালির মুক্তির ইতিহাস যেখানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ছাড়া রচনা করা সম্ভব নয়, সেখানে শেষ জীবনে তাঁর পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করার কি কোনো প্রয়োজন আছে?
শেখ শহীদ প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আব্দুর রাজ্জাক দেখেছিলেন- সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো কি না, এই হিসেবই এখন আমাদের করতে হবে। আর এই হিসেব যদি আমরা মিলাতে পারি তাহলেই মিলে যাবে আব্দুর রাজ্জাকের পাওয়া না পাওয়ার সব হিসেব।
অনুষ্ঠানের বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতির ক্ষনজন্মা ব্যক্তিদের যতবেশি আমরা শ্রদ্ধা জানাবো, ততই আমাদের নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম বিস্তৃত হবে।
বক্তারা ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে শাস্তির রায় কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানার ইমামকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক।
আজ যখন এই বিচার শুরু হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি পাওয়ার একটা সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে তখন তিনি চলে গেলেন। বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমেই প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের অসমাপ্ত আন্দোলন সমাপ্ত করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময় : ১১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১২
0 comments:
Post a Comment