ট্রাইব্যুনালের প্রতি ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতাদের সমর্থন
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন : যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটেনের অলপার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটসের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারি ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর পরিচালক আব্বাস ফয়েজ।
বুধবার লন্ডন সময় বিকেল তিনটায় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় মানবাধিকার নেতারা এই সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরসহ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ধর্মীয় চরমপন্থা বিষয়ক ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ব্রিটিশ আইনজীবী ব্যারিস্টার নোরা শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাংবাদিক আবু মুসা হাসান ও প্রচ্ছায়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) শহীদ উদ্দিন খান।
শাহরিয়ার কবির, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও ব্যারিস্টার নোরা শরীফ অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা ও আন্তর্জাতিকমান নিয়ে মানবাধিকার নেতা লর্ড এভিবারি ও আব্বাস ফয়েজের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ওয়ারক্রাইম ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মান, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে লর্ড এভিবারি ও আব্বাস ফয়েজ শাহরিয়ার কবিরের কাছে জানতে চান।
শাহরিয়ার কবির বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
নির্মূল কমিটি নির্বাহী সভাপতি মানবাধিকার নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, চল্লিশ বছর ধরে নিজেদের স্বজন হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে যারা বিচারের আশায় বসে আছে, অভিযুক্তদের মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে তোলা বিতর্ক কি সেই কষ্টের আগুন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে না? মানবাধিকার নেতাদের কাছে বিশ্বের অন্যান্য অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উদাহরণ উপস্থাপন করে শাহরিয়ার কবির জানতে চান যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বাংলাদেশের চেয়ে আর কোনো ট্রাইব্যুনাল বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়েছে?
বৈঠকে লর্ড এভিবারি বলেন, ’৭১-এর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয়ে উদ্যোগ বলেই আমি মনে করি। এই বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে ইন্টারন্যাশন্যাল বার এসোসিয়েশনসহ আমরা যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছি তার অনেক কিছুর বাস্তবায়নের চেষ্টায় আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে ট্রাইব্যুনালটিকে আরো গ্রহণযোগ্য করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ’৭১-এর ভিকটিমদের ন্যায় বিচার পাওয়ার যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকারকে সম্মান জানাতেই ট্রাইব্যুনালের মান ও স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা বার বার কথা বলছি। আমাদের এই কথা বলাকে কেউ কেউ হয়তো বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু একটি বিষয় আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, ’৭১-এর গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের বাংলাদেশের উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আব্বাস ফয়েজও ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ কিছু কার্যক্রমে নিজের সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনালটি একটি মডেল হোক, এটিই আমরা চাই।’
বাংলাদেশ সময় : ০৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১২
বুধবার লন্ডন সময় বিকেল তিনটায় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় মানবাধিকার নেতারা এই সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরসহ উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ধর্মীয় চরমপন্থা বিষয়ক ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ব্রিটিশ আইনজীবী ব্যারিস্টার নোরা শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাংবাদিক আবু মুসা হাসান ও প্রচ্ছায়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) শহীদ উদ্দিন খান।
শাহরিয়ার কবির, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও ব্যারিস্টার নোরা শরীফ অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা ও আন্তর্জাতিকমান নিয়ে মানবাধিকার নেতা লর্ড এভিবারি ও আব্বাস ফয়েজের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ওয়ারক্রাইম ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মান, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে লর্ড এভিবারি ও আব্বাস ফয়েজ শাহরিয়ার কবিরের কাছে জানতে চান।
শাহরিয়ার কবির বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
নির্মূল কমিটি নির্বাহী সভাপতি মানবাধিকার নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, চল্লিশ বছর ধরে নিজেদের স্বজন হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে যারা বিচারের আশায় বসে আছে, অভিযুক্তদের মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে তোলা বিতর্ক কি সেই কষ্টের আগুন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে না? মানবাধিকার নেতাদের কাছে বিশ্বের অন্যান্য অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উদাহরণ উপস্থাপন করে শাহরিয়ার কবির জানতে চান যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বাংলাদেশের চেয়ে আর কোনো ট্রাইব্যুনাল বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়েছে?
বৈঠকে লর্ড এভিবারি বলেন, ’৭১-এর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয়ে উদ্যোগ বলেই আমি মনে করি। এই বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে ইন্টারন্যাশন্যাল বার এসোসিয়েশনসহ আমরা যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছি তার অনেক কিছুর বাস্তবায়নের চেষ্টায় আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে ট্রাইব্যুনালটিকে আরো গ্রহণযোগ্য করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ’৭১-এর ভিকটিমদের ন্যায় বিচার পাওয়ার যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকারকে সম্মান জানাতেই ট্রাইব্যুনালের মান ও স্বচ্ছতার বিষয়ে আমরা বার বার কথা বলছি। আমাদের এই কথা বলাকে কেউ কেউ হয়তো বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু একটি বিষয় আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, ’৭১-এর গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের বাংলাদেশের উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আব্বাস ফয়েজও ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ কিছু কার্যক্রমে নিজের সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ট্রাইব্যুনালটি একটি মডেল হোক, এটিই আমরা চাই।’
বাংলাদেশ সময় : ০৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১২
0 comments:
Post a Comment