লন্ডনে ৬ বাংলাদেশিসহ ৯ জনের ১০০ বছরের জেল
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন : জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার দায়ে ৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১০০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রিটেনের একটি আদালত।
২০১০ সালের ক্রিসমাসকে সামনে রেখে লন্ডন স্টক একচেঞ্জসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দায়ে বৃহস্পতিবার লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন কোর্ট অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে এই দণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রুপের নেতা ওয়েলসের কার্ডিফে বসবাসরত বাঙালি বংশোদ্ভূত আবদুল মালিক মিয়াকে সবচেয়ে বেশি মেয়াদ ১৬ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮জন যথাক্রমে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা মকসুদুর রহমান চৌধুরীকে ১৩ বছর, গ্রুপ লিডার আবদুল মালিক মিয়ার সহোদর ভাই কার্ডিফের গুরুকান্ত দেশাই নামধারী আবদুল মান্নানকে ১২ বছর, পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যামের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানকে ১২ বছর, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ওমর লতিফকে ১০ বছর ৪ মাস, স্টর্ক অন ট্রেন্টে বসবাসরত বংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বশর মোহাম্মদ শাহজাহানকে কমপক্ষে ৮ বছর ১০ মাস, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত উসমান খান ও নাজাম হোসেইনকে ৮ বছর এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহিবুর রহমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
দণ্ডিতদের মধ্যে দু’জনকে আল কায়েদার অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত পাইপবোমা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনাকালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অন্যদের।
উলউইচ ক্রাউন কোর্টের বিচারক মি. উইলকি তার রায়ে বলেন, ত্রাস ছড়ানো, সম্পদহানি ও অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আসামিরা লন্ডন স্টক একচেঞ্জের একটি টয়লেটে পাইপ বোমা বসানোর পরিকল্পনা করছিল। রায়ে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দানের জন্যে পাকিস্তানে কেন্দ্র গড়ে তোলা জঙ্গিদের একটি দীর্ঘমেয়াদী সন্ত্রাসী পরিকল্পনার উদ্যোগ ছিল। ব্রিটিশ মুসলিম তরুণদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন দেশে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ক্রিসমাসকে সামনে রেখে উপরোক্ত সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রকাশিত হলে সারা ব্রিটেন জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। গ্রেফতারকৃত ৯ অভিযুক্তের ৬ জন বাঙালি হওয়ায় বঙালি কমিউনিটির তরুণ ছেলেমেয়ের অভিভাবকরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই সময় এসব বিষয় নিয়ে বাংলানিউজে কয়েকটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১২
২০১০ সালের ক্রিসমাসকে সামনে রেখে লন্ডন স্টক একচেঞ্জসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দায়ে বৃহস্পতিবার লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন কোর্ট অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে এই দণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রুপের নেতা ওয়েলসের কার্ডিফে বসবাসরত বাঙালি বংশোদ্ভূত আবদুল মালিক মিয়াকে সবচেয়ে বেশি মেয়াদ ১৬ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮জন যথাক্রমে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা মকসুদুর রহমান চৌধুরীকে ১৩ বছর, গ্রুপ লিডার আবদুল মালিক মিয়ার সহোদর ভাই কার্ডিফের গুরুকান্ত দেশাই নামধারী আবদুল মান্নানকে ১২ বছর, পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যামের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানকে ১২ বছর, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ওমর লতিফকে ১০ বছর ৪ মাস, স্টর্ক অন ট্রেন্টে বসবাসরত বংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বশর মোহাম্মদ শাহজাহানকে কমপক্ষে ৮ বছর ১০ মাস, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত উসমান খান ও নাজাম হোসেইনকে ৮ বছর এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহিবুর রহমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
দণ্ডিতদের মধ্যে দু’জনকে আল কায়েদার অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত পাইপবোমা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনাকালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অন্যদের।
উলউইচ ক্রাউন কোর্টের বিচারক মি. উইলকি তার রায়ে বলেন, ত্রাস ছড়ানো, সম্পদহানি ও অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আসামিরা লন্ডন স্টক একচেঞ্জের একটি টয়লেটে পাইপ বোমা বসানোর পরিকল্পনা করছিল। রায়ে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দানের জন্যে পাকিস্তানে কেন্দ্র গড়ে তোলা জঙ্গিদের একটি দীর্ঘমেয়াদী সন্ত্রাসী পরিকল্পনার উদ্যোগ ছিল। ব্রিটিশ মুসলিম তরুণদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন দেশে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই ছিল এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ক্রিসমাসকে সামনে রেখে উপরোক্ত সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রকাশিত হলে সারা ব্রিটেন জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। গ্রেফতারকৃত ৯ অভিযুক্তের ৬ জন বাঙালি হওয়ায় বঙালি কমিউনিটির তরুণ ছেলেমেয়ের অভিভাবকরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই সময় এসব বিষয় নিয়ে বাংলানিউজে কয়েকটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১২
0 comments:
Post a Comment