বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা এখনও নিরাপদ নয়: ব্রিটিশ এমপি
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: বাংলাদেশ সংখ্যালঘুরা এখনও নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার ভোগ করছে না, সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারী ঘটে যাওয়া ঘটনা তারই প্রমান।
বুধবার লন্ডন সময় বিকাল ২টায় চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান লেবার দলীয় এমপি জিম ফিটজ প্রেট্রিক এ মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে জিম ফিট্জ পেট্রিক ছাড়াও ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস কমিশনের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারিও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সনাতন এসোসিয়েশন ইউকে, বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন ইউকে, লোকনাথ ভক্ত পরিষদ ইউকে, গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইউকে, স্বাধীনতা ট্রাষ্ট ইউকে, যুক্তরাজ্য জাসদ, ইউকে কমিউনিষ্ট পার্টি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টার্ণ ইউনিটি কাউন্সিল এর নেতা কর্মীরাও যোগ দেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হল্যান্ড ভিত্তিক গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্সের জেনী লান্ডাসটর্ম, সারে রাহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক জন ইড, মানবাধিকার কর্মী ব্যারিষ্টার নোরা শরিফ, আনসার আহমেদ উল্লা ও জুম্মা পিপলস নেটওয়ার্কের লাল আমলাই প্রমুখ। ব্রিটিশ এমপি জেরিমি করভিনও সমাবেশের সাথে তাঁর একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়ে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিক বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী সংখ্যালগুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গেলে সেক্যুলারিজমের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এটি করতে চাইলেও কিছু সংখ্যক উগ্রপন্থি ইসলামী সংগঠনের কারনে তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
জিম বলেন, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় উন্নয়নে ধর্মীয় সহাবস্থানের গুরুত্ব বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই বুঝতে হবে, তা নাহলে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা হবে খুব কঠিন। জিম প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ যদি একটি ধর্ম নিরপক্ষে রাষ্ট্র হয়, তাহলে এখনও কেন দেশটির সংখ্যালঘুদের আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়, এ বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাখ্যা করা উচিত সরকারের।
প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস কমিশনের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরযাতন এখন অনেকটা চলমান প্রক্রিয়া । ১৯৪৭ সালের পর থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরযাতিত হয়ে আসছে এই ভূখন্ডটিতে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাগ্রে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিসহ আদিবাসীদের ন্যায্য দাবির প্রতি নজর দিতে হবে। এভিবারী সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংখ্যালঘু নিরযাতনের সাথে জড়িতদের আইনের কাছে সোপর্দ করতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বর্ষিয়ান এই মানবাধিকার নেতা।
প্রতিবাদ সমাবেশের অন্যান্য বক্তা হাটহাজারীতে ভাঙ্চুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের জানমালের নিরাপত্বা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা কামনা করেন ও উগ্রপন্থি রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ১০ ডাউনিং ষ্ট্রীটে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপরোক্ত দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১২
বুধবার লন্ডন সময় বিকাল ২টায় চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান লেবার দলীয় এমপি জিম ফিটজ প্রেট্রিক এ মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে জিম ফিট্জ পেট্রিক ছাড়াও ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস কমিশনের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারিও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সনাতন এসোসিয়েশন ইউকে, বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন ইউকে, লোকনাথ ভক্ত পরিষদ ইউকে, গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ইউকে, স্বাধীনতা ট্রাষ্ট ইউকে, যুক্তরাজ্য জাসদ, ইউকে কমিউনিষ্ট পার্টি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খৃষ্টার্ণ ইউনিটি কাউন্সিল এর নেতা কর্মীরাও যোগ দেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হল্যান্ড ভিত্তিক গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্সের জেনী লান্ডাসটর্ম, সারে রাহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক জন ইড, মানবাধিকার কর্মী ব্যারিষ্টার নোরা শরিফ, আনসার আহমেদ উল্লা ও জুম্মা পিপলস নেটওয়ার্কের লাল আমলাই প্রমুখ। ব্রিটিশ এমপি জেরিমি করভিনও সমাবেশের সাথে তাঁর একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়ে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিক বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী সংখ্যালগুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গেলে সেক্যুলারিজমের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এটি করতে চাইলেও কিছু সংখ্যক উগ্রপন্থি ইসলামী সংগঠনের কারনে তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
জিম বলেন, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় উন্নয়নে ধর্মীয় সহাবস্থানের গুরুত্ব বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই বুঝতে হবে, তা নাহলে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা হবে খুব কঠিন। জিম প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ যদি একটি ধর্ম নিরপক্ষে রাষ্ট্র হয়, তাহলে এখনও কেন দেশটির সংখ্যালঘুদের আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়, এ বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাখ্যা করা উচিত সরকারের।
প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারী হিউম্যান রাইটস কমিশনের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরযাতন এখন অনেকটা চলমান প্রক্রিয়া । ১৯৪৭ সালের পর থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরযাতিত হয়ে আসছে এই ভূখন্ডটিতে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাগ্রে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিসহ আদিবাসীদের ন্যায্য দাবির প্রতি নজর দিতে হবে। এভিবারী সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংখ্যালঘু নিরযাতনের সাথে জড়িতদের আইনের কাছে সোপর্দ করতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বর্ষিয়ান এই মানবাধিকার নেতা।
প্রতিবাদ সমাবেশের অন্যান্য বক্তা হাটহাজারীতে ভাঙ্চুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের জানমালের নিরাপত্বা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা কামনা করেন ও উগ্রপন্থি রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ১০ ডাউনিং ষ্ট্রীটে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপরোক্ত দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১২
0 comments:
Post a Comment