লন্ডনে শহীদ মিনারে জনতার ঢল
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: নাহিদ মনসুর
|
পূর্ব লন্ডনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে: যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছেন ব্রিটেনের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করতে একুশের প্রথম প্রহর থেকেই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেমেছিল জনতার ঢল।
দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় এই দিবসের কারিগর বাঙালির ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে অন্যভাষাভাষি মানুষজনও সমবেত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের শহীদ মিনারে। ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল’র নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাত ১২.০১ মিনিটে ভাষা শহীদদের স্মরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হাইকমিশনার ও মেয়রের পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য বিএনপি, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, লেবার পার্টি, কনজারভেটিভ পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, যুক্তরাজ্য জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, যুবলীগ ও যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে সমবেত হতে থাকে। স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ সময় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় নেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা। নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় বিভিন্ন সংগঠন সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে গিয়ে পূষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মিনারে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কর্মীরা শহীদ মিনারে ছিলেন দলীয় স্লোগানমূখর। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েসহ অনেক দম্পতিও এসেছিলেন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাথায় বেধে নতুন প্রজন্মের অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশীও শহীদ মিনারে এসেছিলেন তাদের শেকড়ের সন্ধানে। এ সময় টিভি চ্যানেলগুলোকে তরুণ ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের সাক্ষাৎকার নিতে ব্যস্ত দেখা যায়। শ্বেতাঙ্গ অনেকেও একুশ সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মিডিয়া কর্মীদের কাছে।
আনুষ্ঠানিক পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও মেয়র লুৎফুর রহমান মিডিয়া কর্মীদের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান। হাইকমিশনার বলেন, বাঙালির অমর একুশে আজ আর বাংলাদেশের একক কোনো সম্পত্তি নয়। একুশে এখন প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে প্রেরণা জোগায়। আর এই প্রেরণা নিয়েই পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম চলছে এখন। এই সংগ্রামে সারা বিশ্বই আজ এক কাতারের সৈনিক।
মেয়র লুৎফুর রহমান অমর একুশেকে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাঙালিদের দেওয়া এক অনন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভাষার জন্যে বাংলাদেশীদের আত্মত্যাগ প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে বলেই অমর একুশে আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তিনি বলেন, পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার এখন শুধু বাঙালির ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভই নয়, বহুজাতিক ব্রিটিশ সমাজে এটি এখন মাতৃভাষা প্রেমিকদের অত্যন্ত আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এ সময় তিনি বায়ান্নর মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় এই দিবসের কারিগর বাঙালির ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে অন্যভাষাভাষি মানুষজনও সমবেত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের শহীদ মিনারে। ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল’র নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাত ১২.০১ মিনিটে ভাষা শহীদদের স্মরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হাইকমিশনার ও মেয়রের পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য বিএনপি, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, লেবার পার্টি, কনজারভেটিভ পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, যুক্তরাজ্য জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, যুবলীগ ও যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রাত সাড়ে ১১টার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন মিছিল সহকারে শহীদ মিনারে সমবেত হতে থাকে। স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ সময় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় নেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা। নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় বিভিন্ন সংগঠন সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে গিয়ে পূষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মিনারে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র কর্মীরা শহীদ মিনারে ছিলেন দলীয় স্লোগানমূখর। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েসহ অনেক দম্পতিও এসেছিলেন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাথায় বেধে নতুন প্রজন্মের অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশীও শহীদ মিনারে এসেছিলেন তাদের শেকড়ের সন্ধানে। এ সময় টিভি চ্যানেলগুলোকে তরুণ ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের সাক্ষাৎকার নিতে ব্যস্ত দেখা যায়। শ্বেতাঙ্গ অনেকেও একুশ সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মিডিয়া কর্মীদের কাছে।
আনুষ্ঠানিক পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও মেয়র লুৎফুর রহমান মিডিয়া কর্মীদের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান। হাইকমিশনার বলেন, বাঙালির অমর একুশে আজ আর বাংলাদেশের একক কোনো সম্পত্তি নয়। একুশে এখন প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে প্রেরণা জোগায়। আর এই প্রেরণা নিয়েই পৃথিবীর প্রতিটি ভাষা টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম চলছে এখন। এই সংগ্রামে সারা বিশ্বই আজ এক কাতারের সৈনিক।
মেয়র লুৎফুর রহমান অমর একুশেকে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাঙালিদের দেওয়া এক অনন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভাষার জন্যে বাংলাদেশীদের আত্মত্যাগ প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে বলেই অমর একুশে আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তিনি বলেন, পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার এখন শুধু বাঙালির ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভই নয়, বহুজাতিক ব্রিটিশ সমাজে এটি এখন মাতৃভাষা প্রেমিকদের অত্যন্ত আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এ সময় তিনি বায়ান্নর মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে পূর্ব লন্ডনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও ব্রিটেনের ওল্ডহাম, বার্মিংহাম, লুটন ও নিউক্যাসেলসহ বিভিন্ন শহরে অমর একুশে উদযাপিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে প্রতিটি শহীদ মিনারে নেমেছিল জনতার ঢল।
মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়াও সোমবার রাতেই লন্ডন ও অন্যান্য শহরে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার রাতে পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সত্যেন সেন স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। যুক্তরাজ্য জাসদ ও যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনও সোমবার রাতেই আয়োজন করে আলোচনা অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি ব্যাঙ্কুইটিং হলে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন’র উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে একুশে বিষয়ক এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২
মঙ্গলবার শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়াও সোমবার রাতেই লন্ডন ও অন্যান্য শহরে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার রাতে পূর্ব লন্ডনের কবি নজরুল সেন্টারে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সত্যেন সেন স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। যুক্তরাজ্য জাসদ ও যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনও সোমবার রাতেই আয়োজন করে আলোচনা অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের ওয়াটার লিলি ব্যাঙ্কুইটিং হলে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন’র উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে একুশে বিষয়ক এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১২
0 comments:
Post a Comment