কু প্রচেষ্টায় ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশি থাকলে ব্যবস্থা
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক ব্যর্থ কু প্রচেষ্টার সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিকের যোগাযোগ থাকার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন।
গত সোমবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিকের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটেনের ফরেন অ্যান্ড কমেনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট এই ঘোষণা দেন।
সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ প্রেট্রিক ফরেন অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্টের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ব্যর্থ ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি কোন নাগরিকের যোগাযোগের যে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না এবং এ বিষয়ে সরকার কি ভাবছে?
বিরোধী দলীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জিমের এই প্রশ্নের জবাবে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ব্যর্থ কু প্রচেষ্টার বিষয়টি ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করার সময় এ বিষয়ে তদন্তেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।’
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই তদন্ত প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করছে উল্লেখ করে ফরেন অফিস মিনিস্টার বলেন, ‘তদন্তে যদি প্রমাণ হয় ওই ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিকের যোগাযোগ বা সম্পৃক্ততা আছে, তাহলে ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা নীতি ও প্রাসঙ্গিক আইনের কারণেই ব্রিটেন এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।’
ব্যর্থ ক্যু চেষ্টার খবর প্রকাশ হওয়ার পর এর আগেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দৃঢ় সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল ব্রিটেন। বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ব্যর্থ ক্যু প্রচেষ্টার খবর সম্পর্কে ব্রিটেনের মনোভাব কি, সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিকের এমনই আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরেন অ্যান্ড কমেনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ব্রিটেনের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছিলেন। ‘ব্রিটেন অসাংবিধানিক পন্থায় জোর করে ক্ষমতা গ্রহণের কোনো চেষ্টাকে সমর্থন করে না এবং এ ধরনের অপচেষ্টাকে ক্ষমার চোখেও দেখে না।’ এমনই মন্তব্য করেছিলেন ওই সময় ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট।
ফরেন অফিস মিনিস্টার মন্তব্য করেছিলেন ‘ইতিবাচক সংলাপ, স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও টেকসই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দৃঢ় সমর্থনের কথা ওই সময় ঘোষণা করলেও ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক কারো যোগাযোগ থাকার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি ওই সময় ব্রিটিশ ফরেন অফিস মিনিস্টার।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের নিরাপত্তার বিষয়টিও তখন আলোচনায় আসেনি। গত সোমবার জিম ফিটজ প্রেট্রিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই প্রথম বাংলাদেশের ক্যু প্রচেষ্টার সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার সন্দেহের বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং এর সাথে ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও যে সরকার সতর্ক আছে তা জানান আলেস্টার বার্ট।
এখানে আরও উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ব্যর্থ কু প্রচেষ্টা নিয়ে কিছু দিন আগে ‘বাংলাদেশ, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড দ্য রুল অব ল’ শীর্ষক একটি আর্লি ডে মোশনও আনা হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যর্থ অপচেষ্টার নিন্দা জানাতে ও দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখার পক্ষে ব্রিটিশ সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার তাগিদ দিতে এই মোশন আনা হয়। মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম থেকে নির্বাচিত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি জন হেমিং পার্লামেন্টে এই আর্লি ডে মোশন আনেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২
গত সোমবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিকের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটেনের ফরেন অ্যান্ড কমেনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট এই ঘোষণা দেন।
সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ প্রেট্রিক ফরেন অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্টের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ব্যর্থ ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি কোন নাগরিকের যোগাযোগের যে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না এবং এ বিষয়ে সরকার কি ভাবছে?
বিরোধী দলীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী জিমের এই প্রশ্নের জবাবে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ব্যর্থ কু প্রচেষ্টার বিষয়টি ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করার সময় এ বিষয়ে তদন্তেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।’
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই তদন্ত প্রক্রিয়া ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করছে উল্লেখ করে ফরেন অফিস মিনিস্টার বলেন, ‘তদন্তে যদি প্রমাণ হয় ওই ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিকের যোগাযোগ বা সম্পৃক্ততা আছে, তাহলে ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা নীতি ও প্রাসঙ্গিক আইনের কারণেই ব্রিটেন এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।’
ব্যর্থ ক্যু চেষ্টার খবর প্রকাশ হওয়ার পর এর আগেও বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দৃঢ় সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল ব্রিটেন। বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ব্যর্থ ক্যু প্রচেষ্টার খবর সম্পর্কে ব্রিটেনের মনোভাব কি, সাবেক মন্ত্রী জিম ফিটজ পেট্রিকের এমনই আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরেন অ্যান্ড কমেনওয়েলথ অফিস মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ব্রিটেনের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছিলেন। ‘ব্রিটেন অসাংবিধানিক পন্থায় জোর করে ক্ষমতা গ্রহণের কোনো চেষ্টাকে সমর্থন করে না এবং এ ধরনের অপচেষ্টাকে ক্ষমার চোখেও দেখে না।’ এমনই মন্তব্য করেছিলেন ওই সময় ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ মিনিস্টার আলেস্টার বার্ট।
ফরেন অফিস মিনিস্টার মন্তব্য করেছিলেন ‘ইতিবাচক সংলাপ, স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও টেকসই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের গণতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে দৃঢ় সমর্থনের কথা ওই সময় ঘোষণা করলেও ক্যু প্রচেষ্টাকারীদের সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক কারো যোগাযোগ থাকার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি ওই সময় ব্রিটিশ ফরেন অফিস মিনিস্টার।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের নিরাপত্তার বিষয়টিও তখন আলোচনায় আসেনি। গত সোমবার জিম ফিটজ প্রেট্রিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই প্রথম বাংলাদেশের ক্যু প্রচেষ্টার সাথে ব্রিটেনে বসবাসরত কোন বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার সন্দেহের বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং এর সাথে ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও যে সরকার সতর্ক আছে তা জানান আলেস্টার বার্ট।
এখানে আরও উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ব্যর্থ কু প্রচেষ্টা নিয়ে কিছু দিন আগে ‘বাংলাদেশ, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড দ্য রুল অব ল’ শীর্ষক একটি আর্লি ডে মোশনও আনা হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যর্থ অপচেষ্টার নিন্দা জানাতে ও দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখার পক্ষে ব্রিটিশ সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার তাগিদ দিতে এই মোশন আনা হয়। মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম থেকে নির্বাচিত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি জন হেমিং পার্লামেন্টে এই আর্লি ডে মোশন আনেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২
0 comments:
Post a Comment