লন্ডনে সংবাদকর্মীদের প্রতিবাদ র্যালি
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: মেঘের দোহাই রুনি-সাগরের হত্যাকাণ্ড যেনো রাজনৈতিক ইস্যু না হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এমনই আকুতি জানালেন ব্রিটেনের বাংলা মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে রোববার দুপুরে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে উপস্থিত হয়ে ব্রিটেনের বাংলা মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা এমনই আকুতি জানালেন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত কর্ম বিরতি ও শোক র্যালি শেষে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও বিলেতের সংবাদকর্মীরা খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন। সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কমিউনিটির সাধারণ অনেক মানুষও শরীক হন শহীদ মিনারের প্রতিবাদ সমাবেশে। দুপুর দেড়টায় ব্রিকলেন থেকে শুরু হওয়া এই র্যালি আলতাব আলী পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় শতাধিক সংবাদকর্মীর দাবি ছিল সুষ্ঠু তদন্তের এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে হয়। যাতে আর কোন সংবাদকর্মীকে নৃশংস ও বর্বরভাবে মৃত্যুবরণ করতে না হয়। সমাবেশের বক্তারা নিহত রুনি ও সাগরের একমাত্র সন্তান মেঘের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সরকারের ব্যর্থতা বা বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র এমন বিতর্ক সৃষ্টি করে যেন কোন রাজনৈতিক ইস্যু না হয়।
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির সাবেক সহকর্মীরাও লন্ডনের শহীদ মিনারের সমাবেশে স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সোয়েব কবীর ও এটিএন বাংলার রিপোর্টার জিএইচ রাসেলের যৌথ পরিচালনায় এ সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার লন্ডন প্রতিনিধি মহিউদ্দিন কাদের, চ্যানেল আই ইউরোপের সাবেক এক্সিকিউটিভ এডিটর তানভীর আহমেদ, এনটিভির হেড অব নিউজ হাসান হাফিজুর রহমান, চ্যানেল আই ইউরোপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী শোয়াইব, সিনিয়র সাংবাদিক বাসন নজরুল, বাংলা টিভির বার্তা সম্পাদক মিলটন রহমান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, চ্যানেল এসের বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ সাগর, চ্যানেল এসের চিফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির মিডিয়া এডভাইজার বুলবুল হাসান, নতুন দিন এর নির্বাহী সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, এটিএন বাংলার উর্মি মাজাহার, দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, বার্তাসংস্থা এনএনবি’র লন্ডন প্রতিনিধি মতিয়ার চৌধুরী, সময়২৪ এর সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী, কবি শামীম আজাদ, আমার দেশ এর লন্ডন প্রতিনিধি তারেক চৌধুরী প্রমুখ।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত কর্ম বিরতি ও শোক র্যালি শেষে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও বিলেতের সংবাদকর্মীরা খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন। সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কমিউনিটির সাধারণ অনেক মানুষও শরীক হন শহীদ মিনারের প্রতিবাদ সমাবেশে। দুপুর দেড়টায় ব্রিকলেন থেকে শুরু হওয়া এই র্যালি আলতাব আলী পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় শতাধিক সংবাদকর্মীর দাবি ছিল সুষ্ঠু তদন্তের এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে হয়। যাতে আর কোন সংবাদকর্মীকে নৃশংস ও বর্বরভাবে মৃত্যুবরণ করতে না হয়। সমাবেশের বক্তারা নিহত রুনি ও সাগরের একমাত্র সন্তান মেঘের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সরকারের ব্যর্থতা বা বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র এমন বিতর্ক সৃষ্টি করে যেন কোন রাজনৈতিক ইস্যু না হয়।
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির সাবেক সহকর্মীরাও লন্ডনের শহীদ মিনারের সমাবেশে স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সোয়েব কবীর ও এটিএন বাংলার রিপোর্টার জিএইচ রাসেলের যৌথ পরিচালনায় এ সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার লন্ডন প্রতিনিধি মহিউদ্দিন কাদের, চ্যানেল আই ইউরোপের সাবেক এক্সিকিউটিভ এডিটর তানভীর আহমেদ, এনটিভির হেড অব নিউজ হাসান হাফিজুর রহমান, চ্যানেল আই ইউরোপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী শোয়াইব, সিনিয়র সাংবাদিক বাসন নজরুল, বাংলা টিভির বার্তা সম্পাদক মিলটন রহমান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, চ্যানেল এসের বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ সাগর, চ্যানেল এসের চিফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির মিডিয়া এডভাইজার বুলবুল হাসান, নতুন দিন এর নির্বাহী সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, এটিএন বাংলার উর্মি মাজাহার, দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, বার্তাসংস্থা এনএনবি’র লন্ডন প্রতিনিধি মতিয়ার চৌধুরী, সময়২৪ এর সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী, কবি শামীম আজাদ, আমার দেশ এর লন্ডন প্রতিনিধি তারেক চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদকর্মীরা বলেন, নৃশংসভাবে সাগর ও রুনির এই হত্যাকান্ড সাধারণভাবে দেখলে হবে না। হত্যাকারী যে-ই হোক তাঁদের অবশ্যই খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস নয়, বরং আমরা কাজ দেখতে চাই। বিরোধী দলের প্রতিও অনুরোধ, রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার নয়, খুনিদের ধরতে সরকারকে সহযোগিতা করুন। তা না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। এই দুই সৎ, নির্লোভ ও মেধাবী সাংবাদিককে হারিয়ে সত্যিই আমরা বাকরুদ্ধ।
এই প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে এরপর ভ্যালেন্স রোডের উডহ্যাম গার্ডেনে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আরো একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার। এই সমাবেশে বিলেতের সংবাদকর্মীরা ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দও থাকবেন বলে তিনি জানান। এ সময় সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশনে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন পৃথক পৃথক কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
0 comments:
Post a Comment