ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে বিক্ষোভ যুক্তরাজ্য বিএনপির
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে বিক্ষোভ করবে যুক্তরাজ্য বিএনপি। এ বিক্ষোভ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ নয়, সোমবার ঢাকায় ৪ দলীয় জোট আয়োজিত মহাসমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্যই এ বিক্ষোভ সমাবেশ।
সোমবার লন্ডন সময় দুপুর ১২টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হওয়ার জন্যে দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ স্লোগান দিয়ে দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা হবেন, ঠিক তেমনি ব্রিটেনে বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার থেকে ‘চলো চলো ডাউনিং স্ট্রিট চলো’ স্লোগান দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দিকে রওয়ানা হবে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরের শাখা কমিটিগুলোকে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যেই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও কতটুকু যৌক্তিক? এ প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএনপি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করছে না, দেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকা মহাসমাবেশের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের জন্যই যুক্তরাজ্য বিএনপি এ কর্মসূচি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনকে বলা হয়, গণতন্ত্রের সূতিকাগার। সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশে গণতন্ত্রের পথটি মসৃণ থাকুক ব্রিটেন নিশ্চয়ই এটি আশা করে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক শাসনের নামে যে অপশাসন চালাচ্ছে, তাতে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশটির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ব্রিটেনেরও যে একটি ভূমিকা আছে, এটিই আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে যাচ্ছি ডাউনিং স্ট্রিটে। ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে জমায়েত হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে আমরা একটি স্মারকলিপিও দেবো।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশে আমাদের সহকর্মী নেতাকর্মীরা সরকারি নির্যাতন সহ্য করবে, আর আমরা বিদেশে বসে তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা তো হয় না। আমাদেরও অনেক কিছু করার আছে।`
সোমবারের ডাউনিং স্ট্রিট যাত্রার কর্মসূচি বিএনপি একাই নিয়েছে বলে জানা গেছে। ৪ দলের শরিক অন্যান্য দল এই কর্মসূচিতে নেই বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘৪ দলের নামে জামায়াত এমনভাবে আমাদের ওপর চেপে বসেছে যে, আন্দোলনের সব ফায়দা নিচ্ছে তারা। দেশে বিএনপি যাই-ই করুক, ব্রিটেনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বিএনপি একাই করতে চায়। কারণ, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে এই আন্দোলন আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থাকে না, জামায়াত এটিকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের আন্দোলনের পরিণত করতে চায়। ফলে, সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা হয় প্রশ্নবিদ্ধ।
এদিকে, জামায়াত কর্মীরা বিএনপি কর্মী সেজে সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে বাংলানিউজকে। জামায়াত এমনিতেই স্বনামে ব্রিটেনে কোনো কর্মসূচি পালন করে না। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নামে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তারা। সোমবারও ভিন্ন কোনো ব্যানার বা বিএনপিকর্মীর ছদ্মাবরণে তারা ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমবেত হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যে সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ০৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১২
সোমবার লন্ডন সময় দুপুর ১২টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হওয়ার জন্যে দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ স্লোগান দিয়ে দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা হবেন, ঠিক তেমনি ব্রিটেনে বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার থেকে ‘চলো চলো ডাউনিং স্ট্রিট চলো’ স্লোগান দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দিকে রওয়ানা হবে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরের শাখা কমিটিগুলোকে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যেই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও কতটুকু যৌক্তিক? এ প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার সালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএনপি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করছে না, দেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকা মহাসমাবেশের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের জন্যই যুক্তরাজ্য বিএনপি এ কর্মসূচি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনকে বলা হয়, গণতন্ত্রের সূতিকাগার। সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশে গণতন্ত্রের পথটি মসৃণ থাকুক ব্রিটেন নিশ্চয়ই এটি আশা করে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক শাসনের নামে যে অপশাসন চালাচ্ছে, তাতে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশটির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ব্রিটেনেরও যে একটি ভূমিকা আছে, এটিই আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে যাচ্ছি ডাউনিং স্ট্রিটে। ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে জমায়েত হয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে আমরা একটি স্মারকলিপিও দেবো।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশে আমাদের সহকর্মী নেতাকর্মীরা সরকারি নির্যাতন সহ্য করবে, আর আমরা বিদেশে বসে তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো, তা তো হয় না। আমাদেরও অনেক কিছু করার আছে।`
সোমবারের ডাউনিং স্ট্রিট যাত্রার কর্মসূচি বিএনপি একাই নিয়েছে বলে জানা গেছে। ৪ দলের শরিক অন্যান্য দল এই কর্মসূচিতে নেই বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘৪ দলের নামে জামায়াত এমনভাবে আমাদের ওপর চেপে বসেছে যে, আন্দোলনের সব ফায়দা নিচ্ছে তারা। দেশে বিএনপি যাই-ই করুক, ব্রিটেনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বিএনপি একাই করতে চায়। কারণ, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে এই আন্দোলন আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থাকে না, জামায়াত এটিকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের আন্দোলনের পরিণত করতে চায়। ফলে, সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা হয় প্রশ্নবিদ্ধ।
এদিকে, জামায়াত কর্মীরা বিএনপি কর্মী সেজে সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে বাংলানিউজকে। জামায়াত এমনিতেই স্বনামে ব্রিটেনে কোনো কর্মসূচি পালন করে না। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নামে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তারা। সোমবারও ভিন্ন কোনো ব্যানার বা বিএনপিকর্মীর ছদ্মাবরণে তারা ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমবেত হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যে সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ০৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১২
0 comments:
Post a Comment