মর্যাদাপূর্ণ অলিভিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাঙালি আকরাম
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন থেকে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন :বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো একক নৃত্যনাট্য ‘দেশ’-এর বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নৃত্যশিল্পী আকরাম খান। `দেশ`-এ অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য রোববার লন্ডনে তাকে অলিভিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০১২ এ ভূষিত করা হয়।
চার বছর বয়স থেকে নৃত্যের প্রতি আকৃষ্ট আকরাম খান বিশ্ব নৃত্যাঙ্গনে একটি পরিচিত নাম। ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের মিডিয়াগুলোতে বারবার ঝড় তুলেছে এই বাঙালি যুবকের নৃত্যপ্রতিভা।
পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আকরাম খান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত সুনামই অর্জন করুন, নিজ শেকড়কে কিন্তু ভোলেননি বিলেতে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি এই বাঙালি। আর তাই তার মেধা ও প্রতিভা দিয়ে বিশ্বাঙ্গনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তার পিতৃপুরুষের দেশ বাংলাদেশকে।
২০১০ সালে আকরাম বাংলাদেশে গিয়েছিলেন নিজ পিতৃপুরুষের দেশ নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে। ফিরে আসেন প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে। অস্কারবিজয়ী ভিজিওয়েল আর্টিস্ট টিম ইপ এর সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করেন তার স্বপ্নের একক নৃত্যনাট্য ‘দেশ’। ৮০ মিনিটের এই একক নৃত্যনাট্যে দেহ, মন এবং ব্যক্তির জন্যে একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বের ভারসাম্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন আকরাম খান।
‘দেশ’ এ স্থান পেয়েছে কবি শামসুর রহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’ কবিতার অংশ, স্থান পেয়েছে ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ এর মত বাঙালির দ্রোহী স্লোগান। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের লেস্টারে ও অক্টোবরে লন্ডনের শেডলার ওয়েলস থিয়েটারে ‘দেশ’ প্রদর্শনের পর তোলপাড় শুরু হয় ব্রিটেনসহ সারা বিশ্বের নৃত্যাঙ্গনে।পাশ্চাত্য ধারণা নিয়েই শুধু নয়, বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ নিয়েও বিশ্বাঙ্গনে তোলপাড় তোলার মত নৃত্য তৈরি করা যায়, আকরাম খানের ‘দেশ’ এমনই একটি ধারণা তৈরি করে বিশ্ব নৃত্যাঙ্গনের দিকপালদের মঝে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মর্যাদাপূর্ণ ব্রিটিশ অ্যাওয়ার্ড অলিভিয়ার পাওয়ার আগে আকরাম খানের আরও অনেক সৃষ্টি নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া বারবার সরব হয়েছে। ২০০২ সালে ব্রিটেনের আইটিবি তে আকরাম খানকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার হয়। ২০০৮ সালে বিবিসি-১ তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে। ২০১০ এ চ্যানেল-৪ প্রচার করে আকরামকে নিয়ে ডকুমেন্টারি। সৃষ্টিশীল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পারফর্মিং আর্টস অ্যান্ড লিটারেচারে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান পাওয়া আকরাম খান তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে পেয়েছেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। পেয়েছেন ব্রিটেনের রানীর কাছ থেকে এমবিই খেতাব। আসছে অলিম্পিকে পারফর্ম করবেন আকরাম।
এই পরফরম্যান্সের জন্যে সারা বিশ্বের ৬ হাজার প্রতিযোগী থেকে বাছাই করে নেয়া হয়েছে ৫০ জন। এর মধ্যে বাঙালি আকরাম খান একজন। ৪ বছর বয়স থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহী আকরাম খান লন্ডনের বাংলাদেশ সেন্টারে নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর কাছ থেকে তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন। বিশ্বকাঁপানো থিয়েটার পরিচালক পিটার ব্রুকস এর কাছেও দীক্ষা নিয়েছেন ব্রিটেনে বাঙালিরত্ন আকরাম খান। দীক্ষা নেয়ার সুযোগেই পিটার ব্রুকস এর সাথে তাঁর তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা।
ঢাকার অধিবাসী বিশ্বাঙ্গনে ব্যাপক খ্যাতি ও পরিচিতির পরও নিজ শেকড়ের প্রতি রয়েছে তার আলাদা টান।
আকরামের বাবা মোশাররফ খান বাংলানিউজকে বললেন, ``অলিভিয়ার অ্যাওয়ার্ড আকরাম খানের শেকড় সন্ধানী স্পৃহাকেই সম্মান জানিয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ড লাভে আমরা পরিবারের সবাই আনন্দিত। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর বারবারই মনে পড়ছে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের কথা।`` তিনি জানালেন, তার ছেলে আকরাম শেকড় সন্ধানী একজন নৃত্যশিল্পী, বিশ্বখ্যাতি ব্যবহার করে যে নিজ পিতৃভূমিকে তুলে ধরতে চায়। ‘দেশ’ নৃত্যনাট্য আকরামের সেই ইচ্ছেরই প্রতিফলন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল, ২০১২
চার বছর বয়স থেকে নৃত্যের প্রতি আকৃষ্ট আকরাম খান বিশ্ব নৃত্যাঙ্গনে একটি পরিচিত নাম। ব্রিটেনসহ পাশ্চাত্যের মিডিয়াগুলোতে বারবার ঝড় তুলেছে এই বাঙালি যুবকের নৃত্যপ্রতিভা।
পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আকরাম খান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত সুনামই অর্জন করুন, নিজ শেকড়কে কিন্তু ভোলেননি বিলেতে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি এই বাঙালি। আর তাই তার মেধা ও প্রতিভা দিয়ে বিশ্বাঙ্গনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তার পিতৃপুরুষের দেশ বাংলাদেশকে।
২০১০ সালে আকরাম বাংলাদেশে গিয়েছিলেন নিজ পিতৃপুরুষের দেশ নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে। ফিরে আসেন প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে। অস্কারবিজয়ী ভিজিওয়েল আর্টিস্ট টিম ইপ এর সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করেন তার স্বপ্নের একক নৃত্যনাট্য ‘দেশ’। ৮০ মিনিটের এই একক নৃত্যনাট্যে দেহ, মন এবং ব্যক্তির জন্যে একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বের ভারসাম্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন আকরাম খান।
‘দেশ’ এ স্থান পেয়েছে কবি শামসুর রহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’ কবিতার অংশ, স্থান পেয়েছে ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ এর মত বাঙালির দ্রোহী স্লোগান। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের লেস্টারে ও অক্টোবরে লন্ডনের শেডলার ওয়েলস থিয়েটারে ‘দেশ’ প্রদর্শনের পর তোলপাড় শুরু হয় ব্রিটেনসহ সারা বিশ্বের নৃত্যাঙ্গনে।পাশ্চাত্য ধারণা নিয়েই শুধু নয়, বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ নিয়েও বিশ্বাঙ্গনে তোলপাড় তোলার মত নৃত্য তৈরি করা যায়, আকরাম খানের ‘দেশ’ এমনই একটি ধারণা তৈরি করে বিশ্ব নৃত্যাঙ্গনের দিকপালদের মঝে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মর্যাদাপূর্ণ ব্রিটিশ অ্যাওয়ার্ড অলিভিয়ার পাওয়ার আগে আকরাম খানের আরও অনেক সৃষ্টি নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া বারবার সরব হয়েছে। ২০০২ সালে ব্রিটেনের আইটিবি তে আকরাম খানকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার হয়। ২০০৮ সালে বিবিসি-১ তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে। ২০১০ এ চ্যানেল-৪ প্রচার করে আকরামকে নিয়ে ডকুমেন্টারি। সৃষ্টিশীল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পারফর্মিং আর্টস অ্যান্ড লিটারেচারে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান পাওয়া আকরাম খান তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে পেয়েছেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। পেয়েছেন ব্রিটেনের রানীর কাছ থেকে এমবিই খেতাব। আসছে অলিম্পিকে পারফর্ম করবেন আকরাম।
এই পরফরম্যান্সের জন্যে সারা বিশ্বের ৬ হাজার প্রতিযোগী থেকে বাছাই করে নেয়া হয়েছে ৫০ জন। এর মধ্যে বাঙালি আকরাম খান একজন। ৪ বছর বয়স থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহী আকরাম খান লন্ডনের বাংলাদেশ সেন্টারে নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর কাছ থেকে তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন। বিশ্বকাঁপানো থিয়েটার পরিচালক পিটার ব্রুকস এর কাছেও দীক্ষা নিয়েছেন ব্রিটেনে বাঙালিরত্ন আকরাম খান। দীক্ষা নেয়ার সুযোগেই পিটার ব্রুকস এর সাথে তাঁর তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা।
ঢাকার অধিবাসী বিশ্বাঙ্গনে ব্যাপক খ্যাতি ও পরিচিতির পরও নিজ শেকড়ের প্রতি রয়েছে তার আলাদা টান।
আকরামের বাবা মোশাররফ খান বাংলানিউজকে বললেন, ``অলিভিয়ার অ্যাওয়ার্ড আকরাম খানের শেকড় সন্ধানী স্পৃহাকেই সম্মান জানিয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ড লাভে আমরা পরিবারের সবাই আনন্দিত। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর বারবারই মনে পড়ছে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের কথা।`` তিনি জানালেন, তার ছেলে আকরাম শেকড় সন্ধানী একজন নৃত্যশিল্পী, বিশ্বখ্যাতি ব্যবহার করে যে নিজ পিতৃভূমিকে তুলে ধরতে চায়। ‘দেশ’ নৃত্যনাট্য আকরামের সেই ইচ্ছেরই প্রতিফলন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল, ২০১২
0 comments:
Post a Comment