বাংলাদেশ সফরে সতর্কতার পরামর্শ ব্রিটিশ ফরেন অফিসের
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সহিংসতা অব্যাহত থাকায় নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ ফরেন অফিস। ফরেন অফিস থেকে বাংলানিউজসহ সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রেরিত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শের বিষয়টি জানানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মূসূচী সহিংসতায় পরিণত হওয়ায় উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ ফরেন অফিস বাংলাদেশ সফরে ইচ্চুক তাদের নাগরিকদের প্রতি বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় একজন নেতার অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি হরতাল খুব দ্রুতই সহিংসতার দিকে এগুচ্ছে।
সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্ক করে দিয়ে ব্রিটিশ ফরেন অফিস আশঙ্কা করেছে যে, হরতালের আরও কর্মসূচি আসতে পারে, যাতে সহিংসতা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরেন অফিস বাংলাদেশ সফরে ইচ্চুক ব্রিটিশ নাগরিকদের পরামর্শ দিয়ে বলেছে যারা এই সময় বাংলাদেশ সফর করবেন বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকা এড়িয়ে, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে তাদের আগাম তথ্য নিয়ে রাস্তার
বের হওয়া উচিত।
প্রায় ৭৫ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক প্রতি বছর বাংলাদেশ সফর করে থাকেন বলে ফরেন অফিসের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতায় এবারের গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশে যেতে ইচ্ছুক অনেক ব্রিটেন প্রবাসী তাদের দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিচ্ছেন। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার ব্রিটেন প্রবাসী ছুটি কাটাতে দেশে যান। বছরের সবচেয়ে লম্বা স্কুল/কলেজ ছুটি থাকায় অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে এসময় দেশ সফর করেন। প্রবাসীদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এসময় নিজ পিতৃভূমি সফরের একটি ঝোক লক্ষ্য করা যায়। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে স্কুল কলেজে ছুটি শুরু হলেও দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হয় অনেক আগ থেকে। পিক সিজন থাকায় এসময় প্লেনের টিকেট পাওয়া কষ্টসাধ্য হওয়ায় ছুটি শুরুর ৩/৪ মাস আগ থেকেই অনেকে টিকেট কনফার্ম করে রাখেন। আর একবার কনফার্ম করার পর টিকেট বাতিল করতে হলে বড় অংকের একটি এমাউন্ট গচ্চা দিতে হয় যাত্রীদের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হরতালের নামে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ইতোমধ্যে অনেক পরিবারই তাদের কনফার্ম করা টিকেট বাতিল করছেন, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা।
টিকেট বাতিলে পুরো ভাড়া ফেরত পাওয়া নিয়ে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যেও চলছে বাক বিতণ্ডা। বিমানের লন্ডন অফিস সূত্রও কনফার্ম হওয়া অনেক টিকেট বাতিলের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলানিউজকে। ট্রেভেল এজেন্সি সূত্র থেকেও প্রবাসীদের দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের খবরের সত্যতা জানা গেছে।
এদিকে, ব্রিটেনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার থাকায় হরতাল সহিংসতার প্রতিদিনের সচিত্র খবরই দেখতে পাচ্ছেন প্রবাসীরা। টিভি খবরে ভাঙ্গচুর, সংঘর্ষ, আগুন দিয়ে গাড়ী পোড়ানো, মানুষ হত্যা ইত্যাদি চিত্র দেখে তরুণ ও কিশোর প্রজন্মের ব্রিটিশ বাঙালীদের দেশ সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ছুটিতে দেশে যেতে আগ্রহী ব্রিটেনে বেড়ে উঠা অনেক কিশোর কিশোরী টিভি চ্যানেলগুলোতে সহিংসতার এইসব চিত্র দেখে আতঙ্কিত হয়ে দেশে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে বাধ্য হয়ে অভিভাবকরাও দেশ সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন। মাত্র মাস খানেকের জন্যে দেশে গিয়ে যদি হরতালের কারনে ঘরে আটকে থাকতে হয়, এই আশঙ্কাও সফর পরিকল্পনা বাতিলের আরেকটি কারণ বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন অনেক প্রবাসী। ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ সিলেটের অধিবাসী থাকায় গ্রীষ্মের ছুটিতে সিলেটে প্রবাসী রিলেটেড অনেক ব্যবসাও জমে ওঠে। ব্যাবসায়ীরা এই সময়টিতে নিজেদের ব্যবসায় অতিরিক্ত ইনভেষ্ট করে থাকেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে প্রবাসীদের দেশে যাওয়া এবার অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই সিজনের ব্যবসাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে সিলেটের একজন ব্যবসায়ী টেলিফোনে বাংলানিউজের কাছে তার হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মূসূচী সহিংসতায় পরিণত হওয়ায় উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ ফরেন অফিস বাংলাদেশ সফরে ইচ্চুক তাদের নাগরিকদের প্রতি বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় একজন নেতার অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি হরতাল খুব দ্রুতই সহিংসতার দিকে এগুচ্ছে।
সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্ক করে দিয়ে ব্রিটিশ ফরেন অফিস আশঙ্কা করেছে যে, হরতালের আরও কর্মসূচি আসতে পারে, যাতে সহিংসতা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরেন অফিস বাংলাদেশ সফরে ইচ্চুক ব্রিটিশ নাগরিকদের পরামর্শ দিয়ে বলেছে যারা এই সময় বাংলাদেশ সফর করবেন বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকা এড়িয়ে, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে তাদের আগাম তথ্য নিয়ে রাস্তার
বের হওয়া উচিত।
প্রায় ৭৫ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক প্রতি বছর বাংলাদেশ সফর করে থাকেন বলে ফরেন অফিসের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতায় এবারের গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশে যেতে ইচ্ছুক অনেক ব্রিটেন প্রবাসী তাদের দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিচ্ছেন। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার ব্রিটেন প্রবাসী ছুটি কাটাতে দেশে যান। বছরের সবচেয়ে লম্বা স্কুল/কলেজ ছুটি থাকায় অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে এসময় দেশ সফর করেন। প্রবাসীদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এসময় নিজ পিতৃভূমি সফরের একটি ঝোক লক্ষ্য করা যায়। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে স্কুল কলেজে ছুটি শুরু হলেও দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হয় অনেক আগ থেকে। পিক সিজন থাকায় এসময় প্লেনের টিকেট পাওয়া কষ্টসাধ্য হওয়ায় ছুটি শুরুর ৩/৪ মাস আগ থেকেই অনেকে টিকেট কনফার্ম করে রাখেন। আর একবার কনফার্ম করার পর টিকেট বাতিল করতে হলে বড় অংকের একটি এমাউন্ট গচ্চা দিতে হয় যাত্রীদের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হরতালের নামে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ইতোমধ্যে অনেক পরিবারই তাদের কনফার্ম করা টিকেট বাতিল করছেন, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা।
টিকেট বাতিলে পুরো ভাড়া ফেরত পাওয়া নিয়ে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যেও চলছে বাক বিতণ্ডা। বিমানের লন্ডন অফিস সূত্রও কনফার্ম হওয়া অনেক টিকেট বাতিলের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলানিউজকে। ট্রেভেল এজেন্সি সূত্র থেকেও প্রবাসীদের দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের খবরের সত্যতা জানা গেছে।
এদিকে, ব্রিটেনে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার থাকায় হরতাল সহিংসতার প্রতিদিনের সচিত্র খবরই দেখতে পাচ্ছেন প্রবাসীরা। টিভি খবরে ভাঙ্গচুর, সংঘর্ষ, আগুন দিয়ে গাড়ী পোড়ানো, মানুষ হত্যা ইত্যাদি চিত্র দেখে তরুণ ও কিশোর প্রজন্মের ব্রিটিশ বাঙালীদের দেশ সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ছুটিতে দেশে যেতে আগ্রহী ব্রিটেনে বেড়ে উঠা অনেক কিশোর কিশোরী টিভি চ্যানেলগুলোতে সহিংসতার এইসব চিত্র দেখে আতঙ্কিত হয়ে দেশে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে বাধ্য হয়ে অভিভাবকরাও দেশ সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন। মাত্র মাস খানেকের জন্যে দেশে গিয়ে যদি হরতালের কারনে ঘরে আটকে থাকতে হয়, এই আশঙ্কাও সফর পরিকল্পনা বাতিলের আরেকটি কারণ বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন অনেক প্রবাসী। ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাগরিষ্ট অংশ সিলেটের অধিবাসী থাকায় গ্রীষ্মের ছুটিতে সিলেটে প্রবাসী রিলেটেড অনেক ব্যবসাও জমে ওঠে। ব্যাবসায়ীরা এই সময়টিতে নিজেদের ব্যবসায় অতিরিক্ত ইনভেষ্ট করে থাকেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে প্রবাসীদের দেশে যাওয়া এবার অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই সিজনের ব্যবসাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে সিলেটের একজন ব্যবসায়ী টেলিফোনে বাংলানিউজের কাছে তার হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
0 comments:
Post a Comment