ভারত থেকে বীর শহীদদের দেহাবশেষ পাওয়া অনিশ্চিত!
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
লন্ডন: ভারতের মাটিতে সমাহিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের দেহবাশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহীদদের সমাধি খুঁজে বের করা তাদের পক্ষে খুবই কঠিন কাজ এবং বিষয়টি সরকারের জন্য বিব্রতকর।
মঙ্গলবার ভারতের প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর এক প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে এক আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে মাতৃভূমির জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছেন এই বীর যোদ্ধারা, তাদের শেষ শয্যা তাদের মাতৃভূমিতেই জাতি দেখতে চায়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শণের জন্যেই তাদের দেহবাশেষ দেশে নিতে চায় বাংলাদেশ সরকার।
শহীদদের সমাধি চিহ্নিত করতে গত মাসের মধ্যভাগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা লেখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একই ধরনের অনুরোধপত্র ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কাছেও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা উভয় রাজ্যের সঙ্গেই রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত পয়েন্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কলকাতা প্রতিনিধি রাজিব চ্যাটার্জির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা
হয়, ভারতে সমাহিত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দেহবাশেষ চেয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো অনুরোধপত্র পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের জন্যে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিম বঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের ওই কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার মতে, রাজ্যের কোথায় কোথায় বাংলাদেশের শহীদ বীররা সমাহিত আছেন, তা চিহ্নিত করা রাজ্য সরকারের প্রশাসনের জন্য একটি কঠিন কাজ। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সীমান্ত জেলাগুলোতেই মূলত বাংলাদেশের শহীদরা শায়িত আছেন। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। আমাদের সরকারের কাছেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এমতাবস্থায় কাজটি আমাদের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১২
মঙ্গলবার ভারতের প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর এক প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে এক আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে মাতৃভূমির জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছেন এই বীর যোদ্ধারা, তাদের শেষ শয্যা তাদের মাতৃভূমিতেই জাতি দেখতে চায়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শণের জন্যেই তাদের দেহবাশেষ দেশে নিতে চায় বাংলাদেশ সরকার।
শহীদদের সমাধি চিহ্নিত করতে গত মাসের মধ্যভাগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছেও একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা লেখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একই ধরনের অনুরোধপত্র ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কাছেও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা উভয় রাজ্যের সঙ্গেই রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত পয়েন্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কলকাতা প্রতিনিধি রাজিব চ্যাটার্জির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা
হয়, ভারতে সমাহিত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দেহবাশেষ চেয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো অনুরোধপত্র পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের জন্যে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিম বঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগের ওই কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার মতে, রাজ্যের কোথায় কোথায় বাংলাদেশের শহীদ বীররা সমাহিত আছেন, তা চিহ্নিত করা রাজ্য সরকারের প্রশাসনের জন্য একটি কঠিন কাজ। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সীমান্ত জেলাগুলোতেই মূলত বাংলাদেশের শহীদরা শায়িত আছেন। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। আমাদের সরকারের কাছেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এমতাবস্থায় কাজটি আমাদের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১২
0 comments:
Post a Comment