Syed Anas Pasha

Syed Anas Pasha


সাংবাদিকদের সঙ্গে শেখ হাসিনার ইফতার

পছন্দের কোম্পানিকে কাজ না দেয়ায় ঋণ বাতিল


সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সেন্ট প্যাংক্রাস রেনেসাঁ হোটেল থেকে :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পছন্দের বিদেশি কোম্পানির পক্ষে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত চাপ অগ্রাহ্য করার কারণেই পদ্মাসেতু ঋণচুক্তি বাতিল হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একটি বিদেশি কোম্পানিকে পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে বাংলাদেশের উপর বিশ্বব্যাংকের ওই চাপের বিনিময় পার্সেন্টেজ কত ছিল এটি যদি আমরা জানতে চাই তা কি খুব অন্যায় হবে?

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় (লন্ডন সময় রাত ৯টা) কেন্দ্রীয় লন্ডনের সেন্ট প্যাংক্রাস রেনেসাঁ হোটেলে লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে ইফতার পরবর্তী প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিও উপস্থিত ছিলেন।
আবুল সরকারের পিছুটান  নয়
বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল-পরবর্তী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরির ঘোষণার পর ``সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী  আবুল হোসেনের পদত্যাগ কি সরকারের পিছুটান?``--- এ প্রশ্ন করা হলে জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ``অবশ্যই না। আমরা বলেছি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু আমরা করবো।``
``এরই মধ্যে এর প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে`` উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `` আমাদের এই প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে কোনো সংস্থা যদি পদ্মাসেতুর জন্যে ঋণ দিতে চায়, সেটি আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরীর ঘোষণা থেকে পিছুটান হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। `` প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ``বিশ্বব্যাংক আমাদের এমনি এমনি ঋণ দেয় না। এই ঋণের বিনিময়ে আমাদের কাড়ি কাড়ি সুদ দিতে হয়।``

পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়নি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``পদ্মাসেতু প্রকল্পে এরই মধ্যে আমরা দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। এগুলো বিশ্ববাংক দেয়নি। আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকেই তা করেছি। নিজস্ব উদ্যোগেই আমরা পদ্মাসেতু তৈরির কথা বলেছি- প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু করেছি।``

``বিশ্বব্যাংক এ পর্যায়ে এসে আবারে ঋণ দেবে কিনা, এটি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।``--একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বোলেন, `` আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নেই। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাবো। ঋণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্যে তাঁর সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে কোনো আবেদন করেনি।``

ঋণচুক্তি বাতিলের কারণ
বিশ্বব্যাংকের করা দুর্নীতির অভিযোগ আবারও খণ্ডন করে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো  তথ্য প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করলেই আমরা তা গ্রহণ করতে পারি না।  একটি বিদেশি কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগের  জন্য চাপ  সাবেক  যোগাযোগমন্ত্রী গ্রহণ করেননি। এটিই যদি ঋণ চুক্তি বাতিলের  কারণ হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।``

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ``শুধু পদ্মা  সেতুর ঋণই বাতিল নয়- এর আগে ২০০৫ সাল থেকে আরও কয়েকটি ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। বিএনপি সরকারের আমলে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণ চুক্তিও বিশ্বব্যাংক বাতিল করে।``

সাদা কাপড়ে দাগ
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী  আবুল হোসেনের পদত্যাগকে স্বাগত জানানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ``এর আগের সরকারের আমলেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আসলে ময়লা কাপড়ে দাগ লাগলে কারো চোখে পড়ে না। কিন্তু সাদা কাপড়ে সামান্য দাগ পড়লেও তা সবার চোখে পড়ে।আমাদের হয়েছে এই অবস্থা।``
``আগের সরকারের দুর্নীতির পাহাড় থাকার কারণে কেউই এগুলো নিয়ে খুব মাতামাতি করতেন না। আর আমাদের সরকারের আমলে দুর্নীতির মাত্রা এতই কম বলতে গেলে শূন্যের কোঠায় থাকায় একটা কিছু উনিশ-বিশ হলেই সবাই হৈ-হল্লা শুরু করেন।``

দেশপ্রেম আছে বলেই আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``একমাত্র তাঁর নাম আসার কারণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে- এই বিবেচনা থেকেই আবুল হোসেন পদত্যাগ করেছেন বলে আমার ধারণা।``
``আগের সরকারের কয়জন মন্ত্রীর এমন ব্যক্তিত্ব ছিল?`` --এই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``আবুল হোসেনের দেশপ্রেমের প্রশংসা করা উচিত।``

তত্ত্বাবধায়কের কর্তারা স্বেচ্ছানির্বাসনে
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ``বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁর নিজের  কারাবরণ ও নির্বাসনসহ রাজনীতিকদের  ওপর  নির্যাতন  ও অন্যান্য ঘটনা কি বর্তমান সরকার  আইনসিদ্ধ করে ফেলেছে? যদি তা না হয় তবে তার বিচার হচ্ছে না কেন?`` এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``২০০৮ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে আমাদের ক্ষমতায় পাঠিয়ে দেশের জনগণই তো সে বিচার করে ফেলেছে। আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না। তাছাড়া আল্লাহর বিচার তো একটা আছেই। তাঁরা আমাকে নির্বাসনে দিতে চেয়েছিল, আজ তারা স্বনির্বাসনে।``

সংখ্যালঘু নির্যাতনের  বিচার হবে
২০০১ সালে বিএনপি-জামাত  জোটের ক্ষমতা গ্রহণের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে  বিচার বিভাগীয় তদন্ত  কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী  দায়ীদের শাস্তি হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ``ওই সময়ের ঘটনার ভিকটিমরা ভয়ে অনেকেই মামলা করেননি, কারো কারো মামলা থানাপুলিশ  নেয়ও নি। সুতরাং এই বিচার  একটি কঠিন কাজ বটে। ``

``তবে বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে ওই ঘটনাগুলোর নতুন করে মামলা দায়ের করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা।`` একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ``সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিচার আমরা করতে চাই। করবোও ইনশাল্লাহ।``

যুদ্ধাপরাধের  বিচার
যুদ্ধাপরাধের বিচার  প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গেছে মর্মে অভিযোগ অস্বীকার করে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``মোটেই  তা নয়। স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এই বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।  সরকার তো আর এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ  করতে পারে না। এই বিচার দ্রুত শেষ করতে এরই মধ্যে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গেছে বলা ঠিক নয়।``

যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আ’লীগ এমপির ভাই  

চ্যারিটির নামে ব্রিটেন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে  প্রচুর অর্থ বাংলাদেশে যাচ্ছে- আর এর অন্যতম পৃষ্টপোষক  একজন আওয়ামী লীগ এমপি’র ভাই, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী  প্রথমে বিস্ময় প্রকাশ করে  প্রশ্নকর্তা এনএনবি‘র লন্ডন  প্রতিনিধির কাছে জানতে চান, ``আওয়ামী লীগের কোন এমপি’র ভাই ওই পৃষ্ঠপোষক?``

উত্তরে প্রশ্নকর্তা বলেন, ``এটি খুঁজে বের করার দায়িত্ব তো সরকারের।`` এ সময় পাশে বসা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিচুস্বরে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``আওয়ামী লীগ এমপি’র ভাই বিএনপি’র লোক হলে তিনি তো তা করবেনই। এক ভাই আওয়ামী লীগ, আরেক ভাই বিএনপি। আমাদের কি করার আছে!``

উন্নয়নের বর্ণনা
প্রশ্নত্তোর পর্বের আগে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান  সরকারের  শাসনামলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে। তিনি বলেন, ``১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ দেশের যে উন্নয়ন কার্যক্রম  শুরু করেছিল পরবর্তী সরকারগুলো তা ধরে রাখতে পারেনি।``

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি-জামাত জোট সরকার এবং পরবর্তী সময়ে ২০০৬ থেকে ২০০৮ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশকে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ``বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ আবারও উঠে দাঁড়িয়েছে। ``

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামাতের আমলে দেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারন্য ছিল। এই অবস্থা আজ আর নেই। বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা বিবিধ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম। প্রতিটি থানায় ইন্টারনেট সংযোগের কথা বলেছিলাম। শুধু থানায় নয়- দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষ আজ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে আমাদের সরকার দেশের দারিদ্র হ্রাস করেছে ১০ শতাংশ। এই ১০ ভাগ  মানুষ এখন নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ৮৪৮ মার্কিন ডলার।

দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখন ৬ শতাংশের ওপরে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা কি- বাংলাদেশ তা টের পায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে, বাড়ছে স্বাক্ষরতার হার।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করতে চাই, এই সংগ্রামই আমাদের চলছে এখন। তিনি বলেন ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করেছি, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে এখন কাজ করছে বর্তমান সরকার।

ইফতারে উপস্থিত   
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকদের ইফতার  মাহফিলে  অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত  বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড: সাইদুর রহমান খান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের  সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক, যুগ্ম  সম্পাদক মারুফ  চৌধুরী, নঈমুদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, শাহাব উদ্দিন চঞ্চল,  যুক্তরাজ্য যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামাল খান  প্রমুখ।

বিএনপি’র বিক্ষোভ
এর আগে হিথরো  বিমান বন্দর থেকে সরাসরি  রেনিসেন্স হোটেলে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্র্রধানমন্ত্রীর আসার অনেক আগ থেকেই যুক্তরাজ্য বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল হোটেলের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়।
অবশ্য বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়নি প্রধানমন্ত্রীকে। লন্ডন সময় বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিএনপি কর্মীরা বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের সামনে। বিরোধী দলীয় কর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভরত অবস্থায়ই তাদের ইফতার সারেন।

এই বিক্ষোভে দেশের ইমেজ কি নষ্ট হচ্ছে না, বাংলানিউজের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিক্ষোভে উপস্থিত যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এ সালাম বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে বিক্ষোভ করতে আমরাও চাইনা।

কিন্তু আজ বাংলাদেশের যে অবস্থা তাঁর জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দুর্নীতি এই সব কিছুর জন্যে দায়ী প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

দেশে সরকারী নির্যাতনের কারণে রাজপথেও নামতে পারছে না মানুষ। সুতরাং এমনি অবস্থায় আমাদের কাছে আর বিকল্প কিছু নেই। আমরা মনেকরি বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে যদি দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়, এরজন্যেও দায়ী প্রধানমন্ত্রী। কারণ বিক্ষোভের পরিবেশ তিনিই সৃষ্টি করেছেন। এর দায়ও তাঁর।

বাংলাদেশ সময় : ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১২

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts