লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. এম সাইদুর রহমান
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান |
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১০ মিনিট) প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বিশেষ ফ্লাইট লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান, ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের কর্মকর্তা ধারেমদো রামকিষণ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হোটেল সেন্ট প্যানক্রাস রেনেসাঁয় যান। ৩ দিনের লন্ডন সফরকালে এ হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি। হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান তার বোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা।
শনিবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ছাড়েন।
লন্ডন অবস্থানকালে রোববার বিকেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠেয় ক্ষুধা ও অপুষ্টি বিষয়ক সম্মেলন ‘গ্লোবাল হাঙ্গার সামিট’ এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, হাঙ্গার সামিটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ব্রাজিলের উপ-রাষ্ট্রপতি মাইকেল টিম, নাইজেরিয়া, মোজাম্বিক ও আয়ারল্যাণ্ডের প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি এনজিও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিসেফ, সেইভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ান এবং বন্ড।
রোববার রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর হোটেল স্যুটে ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিশেল সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। দুই নেতার ওই বৈঠকে বাংলাদেশে ব্রিটিশ উন্নয়ন সাহায্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে রোববার অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের কথা শোনা গেলেও সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগদান করছেন না।
১৩ আগস্ট বেলা ২টায় আমিরাত এয়ারলাইন্সে দেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিম ১২ আগস্ট বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ আহবান জানাবেন। আর তা হচ্ছে, এখন থেকে ২০১৬ সালের অলিম্পিকের মধ্যবর্তী সময়টায় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের পুষ্টি উন্নয়ন ও অনাহারের হার হ্রাসের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহবান।
হাঙ্গার ইভেন্টে অপুষ্টির প্রতিকার ও বৈশ্বিক প্রয়াসের সমন্বয়ে নতুন পথনির্দেশনা চিহ্নিত করার মাধ্যমে ঘোষিত অঙ্গীকারগুলো জোরদার করায় সহায়ক হবে।
ব্রিটেন আশা করে যে, লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ বিশ্বের কোটি কোটি শিশুর অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে স্থায়ী অবদান রাখবে এবং তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোরও সুযোগ করে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১২
Link to Article
0 comments:
Post a Comment