আলোর ছোঁয়ায় শানিত অঙ্গীকার ব্রিটেন প্রবাসীদের
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে সমবেত হতে থাকেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের সমাগমও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৬টায় মোমবাতি হাতে আলোর মিছিল নিয়ে ধীরে ধীরে শহীদ মিনারের দিকে অগ্রসর হন রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে অঙ্গীকারাবদ্ধ প্রবাসী বাঙালিরা। আলোর মিছিলটি বাংলাটাউনের ব্রিকলেন হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সমবেত হয়। লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সেখানে মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ দেখার আন্দোলনের সহযাত্রী ব্রিটেন প্রবাসী বাঙ্গালিরা।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ঘাতক জামাত শিবিরের হাতে নিহতদের স্মরণে শহীদ মিনারে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। এরপর শুরু হয় গগন বিদারী স্লোগান।‘গোলাম আযম রাজাকার-এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘ক তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘রাজাকারের ফাঁসি হবে, বাংলা মায়ের কলঙ্ক মুছবে’ ইত্যাদি স্লোগান স্লোগানে প্রকম্পিত লন্ডন শহীদ মিনার তখন বিভিন্ন বর্ণের মানুষের আকর্ষণে পরিণত হয়।
জনতার প্রতিটি স্লোগানে ক্ষোভ ঝরছিল যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি, আকুলতা ছিল এদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের। বিপুল সংখ্যক তরুণ/তরুণী ছাড়াও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, প্রজন্ম-৭১, সাপোর্ট ওয়ারক্রাইম ট্রাইব্যুনাল, যুক্তরাজ্য যুবলীগ, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও কমিউনিটি সংগঠন শহীদ মিনারের এই আলো প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মোমবাতি হাতে নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার পর সমাবেশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, প্রজন্ম চত্বরের যুদ্ধাপরাধী বিরোধী আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহযাত্রী থাকবেন প্রবাসীরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৩
Link to article
0 comments:
Post a Comment